উচ্চ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড নিতে বুধবার সকাল থেকেই স্কুলে ভিড় করেছিল ছেলেমেয়েরা। তখনইা জানতে পারে, সঙ্গে গুনতে হবে ‘সেন্টার ফি’ বাবদ ৯০ টাকা।
কেন নিচ্ছেন সেন্টার ফি? প্রশ্ন তুলে, কান্দির পারুলিয়া হরিচরণ হাইস্কুলে, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি পরে হাতাহাতিতে গড়ায়। জনা কয়েক শিক্ষককে কমন রুমে ঢুকিয়ে তালা মেরে দেয় তারা। শুরু হয় ভাঙচুর। তাণ্ডবে গুঁড়িয়ে যায় কম্পিউটার, আলমারি, স্কুল চত্বরে রাখা শিক্ষকদের মোটরবাইকও। ইট দিয়ে ডেস্কটপ গুঁড়িয়ে দিয়ে এক ছাত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এর পরেও সেন্টার ফি চাইবি, বল!’’
পুলিশ এসে উদ্ধার করে শিক্ষকদের। তবে পুলিশ যেতেই ফের শুরু হয় ভাঙচুর। পড়ুয়াদের মনোভাব সমর্থন করছেন না শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভায় তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার পিছনে, লাল-তেরঙ্গা, যে রাজনৈতিক দলেরই মদত থাকুক না কেন, পার পাবে না।’’
স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা রাজনৈতিক মদতের কথা মানতে চায়নি। তাদের পাল্টা অভিযোগ, ছুতোনাতায় টাকা চাওয়া ওই স্কুলের ‘রেওয়াজ’। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম বলেন, “উন্নয়নের স্বার্থে ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।’’ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস বলেন, “সেন্টার ফি দিতে হয়। তবে তা ৫০ টাকার বেশি নয়।’’ স্কুলের এক শিক্ষক বলছেন, ‘‘ভুল-ঠিক যাই হোক, তা বলে স্কুলটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy