উদ্ধার হওয়া সাপের বিষ। নিজস্ব চিত্র।
বেলজিয়াম কাচের সুদৃশ্য তিনটি পাত্র। বাইরে থেকে দেখে সন্দেহ হওয়ার কারণ নেই একটুও। কিন্তু সেই পাত্র খুলতেই চোখ ছানাবড়া বনকর্মীদের। পাত্রগুলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সাপের বিষ। বাজারে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় একশো কোটি টাকা। শনিবার সকালে জলপাইগুড়ির বেলাকোবা থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ সাপের বিষ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে ছ’জন যুবক তিনটি মোটরবাইকে এই জারগুলি নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে আসছিল। পথে বেলাকোবা রেলগেটের কাছে তাদের পথ আটকান বন দফতরের কর্মীরা। এক যুবক নিজেকে সাংবাদিক বলে দাবি করে বলে, বিশেষ কাজে বেরিয়েছে তারা। তাদের যেন এখনই ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্দেহ হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন বন দফতরের কর্মীরা। আর তখনই ওই তিনটি জার থেকে উদ্ধার হয় সাপের বিষ। পুলিশ সূত্রে খবর, বুলেটপ্রুফ ওই জারগুলির একটিতে তরল, একটিতে কেলাস (ক্রিস্টাল) অবস্থায় এবং অন্যটিতে হলুদ রঙের প্রসেসড বিষ মিলেছে। তবে এই বিপুল পরিমাণ বিষ কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা সঠিক ভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। ধৃতদের জলপাইগুড়ি নগর দায়রা আদালতে তোলা হলে সোমবার পর্যন্ত তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
বৈকুন্ঠপুরের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত বলেন, “প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই সাপের বিষ বাংলাদেশ থেকে বালুরঘাট হয়ে শিলিগুড়ির হায়দারপাড়ায় পৌঁছয়। সেখান থেকে এগুলি সম্ভবত ভুটানে পাচার হওয়ার কথা ছিল। এই বিষের আনুমানিক বাজারদর প্রায় ১০০ কোটি টাকা। জারগুলিতে একটি ফরাসি সংস্থার ছাপ মারা আছে।” তবে ধৃতদের আইনজীবীর দাবি, “ধৃতদের বাড়ি থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ফাঁসানো হয়েছে এই ছ’জনকে।” উদ্ধার হওয়া বিষের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী বিনয় বর্মণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy