Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বৃষ্টিতে দুর্ভোগ, ভিড় বাড়ছে ত্রাণ শিবিরে

ঝড়ের ধাক্কা সামলে উঠতে না-উঠতেই দফায়-দফায় বৃষ্টি। আগের দিন ঝড়ের ধকল যাঁরা সয়ে নিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরে তাঁরাও আতঙ্কিত। ফল, হাবরা-অশোকনগরে ত্রাণশিবিরে আশ্রিতের সংখ্যা বাড়ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ০৪:১৩
Share: Save:

ঝড়ের ধাক্কা সামলে উঠতে না-উঠতেই দফায়-দফায় বৃষ্টি। আগের দিন ঝড়ের ধকল যাঁরা সয়ে নিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরে তাঁরাও আতঙ্কিত। ফল, হাবরা-অশোকনগরে ত্রাণশিবিরে আশ্রিতের সংখ্যা বাড়ছে।

বাংলাদেশে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় গোমেনের দাপটে দুপুর থেকে কালো মেঘে আকাশ ছেয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। দুই ২৪ পরগনা ও নদিয়ার পুব ঘেঁষা এলাকায় প্রভাব পড়েছে আগে। বুধবার সকালে প্রবল ঝড়ে বাড়িঘর ভেঙে, চাল উড়ে, গাছ পড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল যে হাবরা ও অশোকনগর-কল্যাণগড় এলাকা, সেখানে ফের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঝড়ের পরে চারটি ত্রাণ শিবিরে শ’খানেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। এ দিন বৃষ্টি শুরুর পরে সংখ্যাটা বেড়ে ৩৭০-এ দাঁড়িয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক মনমীত নন্দা জানান, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃষ্টিতে নতুন করে ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি। তবে ভেঙে পড়া ১২০টি বিদ্যুতের খুঁটির অর্ধেক মাত্র দাঁড় করানো গিয়েছে। অনেক জায়গায় গাছ পড়েছে তারের উপরে। সন্ধ্যা নামতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার।

সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন।

বসিরহাটের ৬টি ব্লকে আগাম ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল স্কুলে। নদী লাগোয়া গ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বাসিন্দাদের। ব্লকে-ব্লকে পৌঁছে দেওয়া হয় ত্রিপল ও ত্রাণসামগ্রী। নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবন এলাকার কোথাও বাঁধ ধসে, কোথাও বা বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামে নোনা জল ঢুকে যায়। হিঙ্গলগঞ্জে ইছামতী ও কালিন্দী নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বালিয়া নদীর বাঁধ ভেঙেছে সন্দেশখালিতে। বিকেল থেকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির দাপটে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে আরও বহু জায়গায়। পদ্মা, যমুনা ও কঙ্কনা বাওড় ছাপিয়ে নোনা জল ঢুকে পড়েছে স্বরূপনগরের বেশ কয়েকটি গ্রামে। ওই সব এলাকায় পাঁচটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা মাটির বস্তা ফেলে নদীবাঁধ উঁচু করার চেষ্টা করেছেন। কাকদ্বীপ ও ক্যানিংয়ে জরুরি অফিস ও ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

বর্ধমানের নদিয়া লাগোয়া কালনা ও পূর্বস্থলীতে বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। পশ্চিমে দুর্গাপুর ও আসানসোলে সন্ধ্যা থেকে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকা আগে থেকেই জলমগ্ন ছিল। এ দিনের বৃষ্টিতে বেশ কিছু বাড়িও ভেঙেছে।

বীরভূমেও ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় সন্ধে থেকে। প্রচুর এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়লেও বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। পূর্ব মেদিনীপুরে তেমন ভারী বৃষ্টি না হলেও ছিল ঝোড়ো হাওয়া। কংসাবতী ও চণ্ডীয়া নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রূপনারায়ণ, কেলেঘাই, বাগুই নদীও বিপদসীমার কাছাকাছি। ডোমকল এলাকায় প্রায় ২০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Villagers rain storm water Basirhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE