Advertisement
০৯ মে ২০২৪
Mamata Banerjee

Bhabanipur By-Poll: ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ভোটে ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের

নেতাদের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এক ওয়ার্ডের কর্মী ও নেতৃত্ব যাতে অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে কাজ না করেন, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:১৬
Share: Save:

ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হল তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের। কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতিতে প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় শাসকদল। কারণ, এই উপনির্বাচনে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, প্রচার-সহ ভোট পরিচালনার কাজে কোনও ভাবে যদি কোভিডবিধি ভাঙা হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীকে আর প্রচার করতে দেওয়া হবে না। তাই প্রচার থেকে শুরু করে গণনা পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতাদের ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ভবানীপুর বিধানসভা। নেতাদের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এক ওয়ার্ডের কর্মী ও নেতা যাতে অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচার না করেন, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারে আসতে ইচ্ছুক অন্য জেলার নেতাদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

রাজ্যের বর্ষিয়ান নেতা তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব। কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক তথা পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সর্বাধিক তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজের ওয়ার্ড ৮২-র পাশাপাশি ৭৪ ও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার। ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওয়ার্ড ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে জিতে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

সেই সময় তিনি সর্বাধিক ব্যবধান পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। সেই ওয়ার্ড থেকে তিনি ২১ হাজার ৩৮০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ৬৩, ৭১, ৭২, ৭৩ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শোভনদেব বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের থেকে এগিয়ে ছিলেন। আবার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ২১০০ ভোটে ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাড়ে সাতশো ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। উপনির্বাচনে এই দুই ওয়ার্ডেও বিজেপি থেকে এগিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বলেছেন, ‘‘২০১১ সালের উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ব্যবধান কিছুটা কমে গিয়েছিল। এ বারের ভোটে প্রথমবারের থেকেও যাতে বেশি ভোটে জেতানো যায় সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই একজোট হয়ে কাজ করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee by election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE