আজ বিধানসভায় শিক্ষা বাজেট নিয়ে বিতর্কের জবাব দেবেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার আগে লাগাতার দু’দিন পর পর দু’টো কলেজে তাণ্ডবের ঘটনায় নাম জড়ালো শাসক দলেরই ছাত্র সংগঠনের। ফলে অস্বস্তিতে পড়ে দুই নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে এক প্রকার বাধ্য হলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে এক জন আবার মন্ত্রীপুত্র!
দক্ষিণ কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজে গোলমাল হয়েছিল সোমবার। সেখানে নাম জড়িয়েছিল বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে সায়নদেবের। মন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। কিন্তু সাংগঠনিক সূত্রে রিপোর্ট নিয়ে সায়নদেবকে মঙ্গলবার যুব তৃণমূলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চারুচন্দ্রের চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে এ দিন টিএমসিপি-র তাণ্ডব চলেছে ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজে। সেখানে অধ্যক্ষের ঘরে আগুন লাগানোর চেষ্টা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনার জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে স্থানীয় নেতা অরিত্র বসুকে।
পার্থবাবু এ দিন বলেন, ‘‘দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। এই ধরনের বশৃঙ্খলা আমরা বরদাস্ত করব না।’’ তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের জন্য আজ শিক্ষা বাজেট বিতর্কে সরকারকে চেপে ধরতে পারেন বিরোধীরা। কারণ, চারুচন্দ্র বা বঙ্কিম সর্দার কলেজে যা ঘটেছে, তা বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। রাজ্য জুড়ে বহু কলেজে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও ভাঙচুরের ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে। সম্পত্তি ভাঙচুর রুখতে সরকার কড়া বিল পাশ করেও তা রুখতে পারেনি। তাই বিশৃঙ্খলা দমনে কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন পার্থবাবুরা। দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে পার্থবাবু বলেন, ‘‘অভিষেক এ সব বরদাস্ত করে না। কলেজে বহিরাগতদের কোনও স্থান নেই। যারা ছাত্র সংসদের নামে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে, তারা যে দলেরই হোক না কেন, রেহাই পাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy