Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

গাঙ্গেয় বঙ্গে বর্ষা এল, সংশয় বর্ষণে

বর্ষার দেরি হওয়ায় এ রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতিও বেড়েছে। মৌসম ভবনের হিসেব বলছে, ১ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত গোটা পশ্চিমবঙ্গে ৫৭ শতাংশ বৃষ্টি-ঘাটতি রয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৯ ০৩:০৩
Share: Save:

আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’র টানে বর্ষা আটকে পড়েছিল। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের পাল্টা টানে সে ঢুকে পড়ল গাঙ্গেয় বঙ্গে।

মৌসুমি বায়ু উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর শুক্রবার জানিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতেই বর্ষা হাজির হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সে পশ্চিম পুরুলিয়া, দুই দিনাজপুর-সহ রাজ্যের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কেরলে এ বছর মৌসুমি বায়ু আসতে দেরি করেছিল। মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার পরেও গতি পায়নি বর্ষা এক্সপ্রেস। পদে পদে হোঁচট খেয়েছে সে। বাঙালির ক্যালেন্ডারে বর্ষার শুরু আষাঢ়ে। দিল্লির মৌসম ভবনের হিসেব বলছে, বঙ্গে বর্ষার আগমনের দিন ৮ জুন। মৌসুমি বায়ু এ বার ওই দু’টি নির্ঘণ্টের কোনওটিই মানেনি। বর্ষণ-প্রত্যাশী বাঙালিদের অনেকে অবশ্য বলছেন, আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে না-হোক, আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহে অন্তত বর্ষা এল বঙ্গে। শুক্রবার ছিল আষাঢ়ের ষষ্ঠ দিন।

মৌসুমি বায়ু রাজ্যে ঢুকলেও সে কতটা বর্ষাবে, তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে আবহবিদদের। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, ‘‘শনিবারেও গাঙ্গেয় বঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। রবিবার নিম্নচাপটি সরে গেলে বৃষ্টি কমতে পারে। বর্ষা এলেও তার শক্তি খুব বেশি নয়।’’ তবু বর্ষার হাত ধরে যেটুকু বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশ পাওয়া যাচ্ছে, তাতেই শান্তি খুঁজছেন অনেকে। বৃষ্টির ফলে দরদরিয়ে ঘামেও কিছুটা লাগাম পড়েছে। নেমেছে পারদও।

বর্ষার দেরি হওয়ায় এ রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতিও বেড়েছে। মৌসম ভবনের হিসেব বলছে, ১ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত গোটা পশ্চিমবঙ্গে ৫৭ শতাংশ বৃষ্টি-ঘাটতি রয়েছে। এই পর্যায়ে কোনও জেলাতেই স্বাভাবিক পরিমাণে বৃষ্টি হয়নি। বর্ধমান, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টির ঘাটতি তুলনায় বেশি। বর্ষা এলেও তড়িঘড়ি সেই ঘাটতি মিটবে না বলে মনে করছেন আবহবিজ্ঞানীরা।

আলিপুর হাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞানীর মতে, বর্ষা ঢুকতে দেরি হওয়ায় ঘাটতি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। একাধিক জেলায় ঘাটতি ৭০ শতাংশ বা তারও বেশি।

আপাতত জোরালো বা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। তার ফলে এত ঘাটতি মেটা কঠিন। ‘‘অন্তত দু’দফায় ভারী বৃষ্টি হলে তবেই ঘাটতি কিছুটা কমবে,’’ মন্তব্য ওই আবহবিজ্ঞানীর।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Weather Weather Update Monsoon
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE