Advertisement
৩১ মার্চ ২০২৩
BJP

দিদির দূতদের ক্ষোভ দেখানো গ্রামকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বানাতে চায় বিজেপি, তৈরি ‘মিত্রশক্তি’

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পরে বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে গ্রামে চলো কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। আর সেই গ্রামের মধ্যে অগ্রাধিকারের তালিকায় তৃণমূল নেতাদের ক্ষোভ দেখানো এলাকা।

নতুন পরিকল্পনা বিজেপির।

নতুন পরিকল্পনা বিজেপির। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

পিনাকপাণি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৭
Share: Save:

যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘যে সব গ্রামে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে সেখানেই আমরা যাব। এটা ঠিক নয় যে, যেখানে তৃণমূল বাধা পাচ্ছে সেখানেই শুধু যাব। এমন অনেক গ্রাম রয়েছে যেখানকার মানুষ শাসক দলের সামনে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। তাই বলে সেখানে মানুষের ক্ষোভ নেই এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।’’ কী বলবেন গ্রামের মানুষের কাছে? ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘বলার থেকে শুনব বেশি। মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনব। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কি না, তা-ও শুনব।’’

Advertisement

ইন্দ্রনীল জানিয়েছেন, ৪০ দিনের কর্মসূচিতে বিজেপি মোট ৩,০০০ গ্রামে যেতে চায়। জানা গিয়েছে, তিনটি পর্বে হবে কর্মসূচি। এক একটি পর্বে রাজ্যের ১৪টি লোকসভা এলাকা বাছা হবে। প্রতিটি পর্বেই কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই কর্মসূচি চলার সময়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বাংলায় আসতে পারেন। তেমন হলে তাঁকেও কোনও গ্রামে নিয়ে যাওয়া যায় কি না, সেটাও প্রাথমিক পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে বলে যুব মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে।

বিজেপি এমন পরিকল্পনা নিলেও তৃণমূল আদতে বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীদের সরব হওয়াকে ‘বিক্ষোভ’ হিসাবে দেখছে না। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘“রাস্তা দিয়ে গেলে মানুষ কিছু বলবে না, তা নয়। অভাব-অভিযোগ থাকতেই পারে। মানুষের কিছু জানানোকে বিক্ষোভ বলে না।” তার আগে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সভায় ‘দিদির দূত’দের ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেনন, “সমস্যা থাকলে নিশ্চয়ই বলবেন। সমাধান হবে। কারও কথা শুনে কুৎসা-অপপ্রচারে কান দেবেন না।’’

তবে বিজেপি মমতার যুক্তিকে ‘সাফাই’ বলেই মনে করছে। সেই কারণে ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। যুব মোর্চার নামে হলেও সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্যের সব জনপ্রতিনিধিকে এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে বলা হবে বলে জানা গিয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে নজরে রেখেই দলের তৃণমূল স্তরের সাংগঠনিক শক্তি পরীক্ষারও মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে এই কর্মসূচি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.