Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Calcutta High Court

হাঁড়ি ভর্তি রসগোল্লা বনাম রসগোল্লার হাঁড়িতে আরশোলা! আইনজীবীদের তরজা গ্রুপ ডি মামলায়

হাই কোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে গ্রুপ ডি মামলার শুনানি চলছিল। তদন্ত প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, ‘‘সিবিআই হাতে হাঁড়ি ভর্তি রসগোল্লা তুলে দেবে, এটা হয় না।’’

Calcutta High Court.

আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ফাইল চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৩
Share: Save:

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে হাঁড়ি ভর্তি রসগোল্লা তুলে দেবে না সিবিআই। এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদেরও নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করা উচিত। আদালতে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের আইনজীবী। এর পাল্টা জবাব দিয়ে কটাক্ষ করেন এসএসসি-র আইনজীবীও। তাঁর মন্তব্য, সিবিআই যে রসগোল্লার হাঁড়ি দেওয়ার কথা বলছে তা আরশোলায় ভর্তি।

বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে গ্রুপ ডি মামলার শুনানি চলছিল। শুনানিতে তদন্ত প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, ‘‘সিবিআই হাতে হাঁড়ি ভর্তি রসগোল্লা তুলে দেবে, এটা হয় না। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদেরও নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।’’ এর পাল্টা সওয়ালে এসএসসি-র আইনজীবীর কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের সেই রসগোল্লার হাঁড়ি আরশোলায় ভর্তি।’’

শুনানিতে গ্ৰুপ ডি নিয়োগ মামলায় ওএমআর শিট কারচুপিতে নাম থাকা ১৬৯৮ চাকরিপ্রাপককে কড়া বার্তা দেন বিচারপতি বসু। যাঁদের নামে দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণিত করতে না পারলে জেল হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি সিবিআইকে বলেন, ‘‘যে ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট কারচুপি হওয়ার কারণে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের কেন মামলায় যুক্ত করছেন না? তদন্তে গতি আনুন, আনতে হবে।’’

বিচারপতি বসুর মন্তব্য, এই ১৬৯৮ জনের বক্তব্য শুনতে অবিলম্বে নোটিস জারি করা প্রয়োজন। এঁদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে জানায়, কয়েক জন সহযোগিতা করলেও সকলে সাহায্য করছেন না। কিন্তু যাঁরা সহযোগিতা করছেন না তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে সিবিআই আধিকারিকরা।

বিচারপতি বসুর মন্তব্য, এই ১৬৯৮ জনের বক্তব্য শুনতে অবিলম্বে নোটিস জারি করা প্রয়োজন। এঁদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে জানায়, কয়েক জন সহযোগিতা করলেও সকলে সাহায্য করছেন না। কিন্তু যাঁরা সহযোগিতা করছেন না তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে সিবিআই আধিকারিকরা। পাল্টা বিচারপতি বসুর বক্তব্য, ‘‘সিবিআইয়ের উচিত এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যেতে হবে জানিয়ে রাখলাম।’’

আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE