আশা ছিল, মোটা টাকা উদ্ধার হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা দাঁড়িয়েছে, তাতে ‘চিঁড়েও ভেজে না’! সরকারি দফতরের পার্সোনেল লেজার বা পিএল অ্যাকাউন্ট থেকে বহু পুরনো টাকা উদ্ধারে নেমে এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতরের।
নবান্ন মনে করেছিল, পিএল অ্যাকাউন্টে লুকিয়ে থাকা টাকা রাজকোষে ফেরাতে পারলে অন্তত ১০ হাজার কোটির সংস্থান হতে পারে। কিন্তু উদ্ধার হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার কোটি। ফলে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার দেনায় ডুবে থাকা রাজ্যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
অবশ্য এতে একেবারে হতাশও নয় অর্থ দফতর। কর্তাদের বক্তব্য, এই ব্যবস্থায় অন্তত পিএল অ্যাকাউন্টের হাল কী, সেটা তো বোঝা গেল! এই অ্যাকাউন্টগুলির হিসেবের আতসকাচ সব সময় থাকে না বলে অনিয়মের সুযোগ বেশি। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘সরকার পিএল অ্যাকাউন্টের টাকা প্রতি বছরের শেষে ফেরত নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তার জেরে বিভিন্ন প্রকল্প বা অন্য খাতের টাকা সেখানে সরিয়ে রাখতেও অনীহা তৈরি হয়েছে নিচু তলার প্রশাসনে। তাতে আর্থিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এসেছে।’’