রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ আলু চাষ হয়েছে। ফলে খোলা বাজারে দাম ওঠেনি। অভাবী বিক্রির রাস্তা নিতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে চাষিদের পাশে দাঁড়াতে কিলোগ্রাম-পিছু চার টাকা ৬০ পয়সা দরে আলু কিনবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে কৃষক দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে-সব চাষি ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠাবেন, রেলে প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা এবং জাহাজে এক টাকা ভর্তুকি পাবেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নোটবন্দির খেলায় অনেক চাষি ২-৩ টাকায় আলু বেচতে বাধ্য হচ্ছেন। মিড-ডে মিল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির জন্য মাসে আমাদের এক হাজার টন আলু লাগে। তা জোগান দিতে চাষিভাইদের কাছ থেকে চার টাকা ৬০ পয়সা দরে আলু কিনব।’’
জমি ফেরত পাওয়ার পরে সিঙ্গুরে আলুর ভাল ফলন হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, সিঙ্গুরে চাষের জমি ফিরিয়ে দেব। আজ গর্ব করে বলতে পারি, আমরা যেটা বলি, সেটা করি। নির্বাচনের আগে এক কথা আর পরে এক কথা, অপপ্রচারের ঝুলিতে আমরা বেড়াল ভরি না। আমাদের মুখের কথা আর কাজের মধ্যে এই দামটুকু আছে।’’ মমতা জানান, ২০১১-র পরে রাজ্যে ধান, তৈলবীজ থেকে শুরু করে সব শস্যের উৎপাদন বেড়েছে। কৃষকদের আয় কী করে বাড়ে, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর হিসেব, ২০১১ সালে চাষিদের গড় বার্ষিক আয় ছিল ৯১ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘নোটবন্দির জন্য এ বার চাষিদের ধান বেচতে অসুবিধে হচ্ছে। তাঁদের প্রতি কুইন্টালে বাড়তি ২০ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়েছে।’’ বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে নিয়মকানুন সরল করতে হয়, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy