Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

আচার্য হিসেবে এই প্রথম বিশ্বভারতীতে মোদী

সমাবর্তনের পাশাপাশি শান্তিনিকেতনে সেই সময়ে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানও করা যায় কিনা, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় তা-ও জানতে চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে তরুণ বজাজ গত কাল ভিডিও কনফারেন্স করে উপাচার্য ও তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: ফাইল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: ফাইল

জয়ন্ত ঘোষাল
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৮ ০৩:৫৪
Share: Save:

মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শান্তিনিকেতনে যেতে পারেন বিশ্বভারতীর ‘আচার্য’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে যোগ দিতে যাবেন তিনি। গত কাল প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রিন্সিপাল সচিব পি কে মিশ্র, বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজকলি সেনকে এ কথা জানিয়েছেন।

সমাবর্তনের পাশাপাশি শান্তিনিকেতনে সেই সময়ে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানও করা যায় কিনা, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় তা-ও জানতে চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে তরুণ বজাজ গত কাল ভিডিও কনফারেন্স করে উপাচার্য ও তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। উপাচার্য তাঁকে জানান, জুন মাসে খুব গরম। তার পরে ছুটিও পড়ে যায়। তাই প্রধানমন্ত্রীর মে মাসের মাঝামাঝি আসাই ভাল, পঁচিশে বৈশাখের পরে।

২৫ কোটি টাকা খরচ করে শেখ হাসিনা সরকার শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ করেছে। তাই আচার্যকে এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু সে দেশের অনেক কূটনীতিকই মনে করছেন, ডিসেম্বরে বাংলাদেশে ভোট হলে তার আগে হাসিনার ভারতে না আসাই ভাল। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে আসা মানেই তিস্তা নিয়ে বিতর্ক। তা ছাড়া, কূটনৈতিক রীতি অনুসারে মোদী ঢাকা যাওয়ার আগেই হাসিনা কী ভাবে ভারতে আসেন? কারণ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বশেষ সফর ছিল হাসিনারই। তবে এই সব প্রশ্ন কাটিয়ে সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে বিশ্বভারতীতে আসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করার জন্যও ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলির কাছেও অনুরোধ জানিয়েছেন উপাচার্য। পাশাপাশি, মোদীর সচিবালয়ের কাছেও উপাচার্য বাংলাদেশ ভবন সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি নিজে আজ ওই ভবন ঘুরেও দেখেন।

আরও পড়ুন : সময়সীমা শেষ, উপাচার্য-পদে মিললই না নাম

বিশ্বভারতী হল একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রধানমন্ত্রী যার ‘আচার্য’। ২০০৮-এ ‘আচার্য’ হিসেবে বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন মনমোহন সিংহ। তার আগে অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ভিজিটর হিসেবে বিশ্বভারতীতে যান। তবে ‘আচার্য’ হিসেবে নরেন্দ্র মোদী বিশ্বভারতীতে এক বারও যাননি। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের একটি সূত্র আজ জানিয়েছে, মোদী বিশ্বভারতীতে যেতে উৎসাহী। এই অসমাপ্ত কর্মসূচি পূর্ণ করতে চান তিনি। সমাবর্তন ও মোদীর সফরের ব্যাপারে আলোচনার জন্য ২ এপ্রিল বিশ্বভারতীর এগ্‌জিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE