Advertisement
১৭ মে ২০২৪

নয়া বোর্ড এলে পুরনো কি সক্রিয় থাকবে

২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল জুলাই মাসে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের সঙ্গে রাজ্যের দ্বৈরথ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সে বার এপ্রিল মাসেই পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। মাঝে পড়ে ছিল তিন মাস সময়।

নুরুল আবসার
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩৪
Share: Save:

গত বার হয়েছিল তিন মাস দেরি। আর এ বার হচ্ছে তিন মাস আগেই।

২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল জুলাই মাসে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের সঙ্গে রাজ্যের দ্বৈরথ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সে বার এপ্রিল মাসেই পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। মাঝে পড়ে ছিল তিন মাস সময়।

এ বার পরিস্থিতি উল্টো। মে মাসের ৮ তারিখ পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশ হবে। অর্থাৎ, নতুন বোর্ড গঠন হয়ে যাবে। কিন্তু পুরনো পঞ্চায়েত বোর্ডের মেয়াদ থাকছে অগস্ট মাস পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে কোনও প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হতে পারে কি না, উঠছে সেই প্রশ্ন।

২০১৩ সালে পুরনো বোর্ড ভেঙে যাওয়ার পরে প্রশাসক বসিয়ে তিন মাস জরুরি কিছু কাজ সামাল দেওয়া গিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসকের হাতে আর্থিক ক্ষমতা থাকে না। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন বিধি ঘোষণার আগে ওয়ার্ক অর্ডার জারি করা না হলে চতুর্দশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন, তৃতীয় রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করা যায় না। আরও বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজও আটকে যায়। একশো দিনের কাজ, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রভৃতি খাতে কাজ চললেও নতুন করে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করা যায় না। একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে নতুন কোনও প্রকল্প করাও যায় না। শুধুমাত্র বিভিন্ন শংসাপত্র দেওয়ার কাজটুকুই চলে।

এ বার যা পরিস্থিতি, তাতে কী হতে চলেছে?

নির্বাচন কমিশনারের দফতর সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,
বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। কারণ, তারা পঞ্চায়েত পরিচালনায় কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করে না। শুধুমাত্র নির্বাচন সংগঠিত করাই তাদের দায়িত্ব। পঞ্চায়েত পরিচালনায় কোনও জটিলতা দেখা দিলে রাজ্য সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে।

যদিও এ ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগের প্রশ্ন থাকছে না বলেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত আইন মোতাবেক, বোর্ড পূর্ণ ক্ষমতা নিয়েই কার্যকালের মেয়াদ শেষ করবে।’’

কিন্তু তা হলেও থাকছে প্রশ্ন।

ধরা যাক, কোনও পঞ্চায়েতে এত দিন সিপিএম ক্ষমতায় ছিল। নতুন বোর্ড তৈরি হল অন্য দলের। তা হলে পঞ্চায়েতটি কি সত্যিই আগের মতো স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবে? পড়ে থাকা টাকা খরচ করতে পারবে? বা আদৌ করার উৎসাহ দেখাবে?

পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের একাংশেরও এ নিয়ে সংশয় আছে। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা যে থেকেই যাচ্ছে, তা বোঝা গেল মন্ত্রীর জবাবেও। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘উন্নয়নের স্বার্থে গ্রামের মানুষ মিলেমিশে সমস্যা মিটিয়ে নিতে পারবেন বলেই তো মনে হয়!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Panchayat Election Board Election Commission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE