Advertisement
E-Paper

তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্তই দলের প্রার্থী

অন্য দিকে, কালীশঙ্কর বলছেন, “মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল আমাকে। গ্রামের সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে আছেন।”

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ০৪:১৪
বাবলা রায় ও কালীশঙ্কর রায়। —নিজস্ব চিত্র।

বাবলা রায় ও কালীশঙ্কর রায়। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কর্মী সুবাস রায়কে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল কালীশঙ্কর রায় ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। বিচার চলাকালীন দু’মাস জেল খাটেন কালীশঙ্কর। এখন তিনি জামিন পেয়ে বাইরে। সেই কালীশঙ্করকেই ফের গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী করল তৃণমূল। তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে নির্দল প্রার্থী হয়ে ময়দানে নেমেছেন নিহতের ছেলে বাবলা। তাঁর কথায়, “দলের কাছে ইনসাফ আশা করেছিলাম। তা মিলল না। তাই লড়াইটা নিজেই লড়ব।” অন্য দিকে, কালীশঙ্কর বলছেন, “মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল আমাকে। গ্রামের সাধারণ মানুষ আমার সঙ্গে আছেন।”

এক সময়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা এবং পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন কালীশঙ্কর। শাসক বদল হওয়ার পরে তিনিও যোগ দেন তৃণমূলে। পাটছড়া অঞ্চলে দলীয় সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রতীকে জিতে উপপ্রধান হন। তার পর থেকেই দলের একটি অংশ তাঁর বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তাঁদেরই এক জন পাটছড়ার সুবাস রায়। দলের একটি অংশের দাবি, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে নানা জায়গায় অভিযোগ জানান তিনি। তখনই দু’জনের বিরোধ চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, গত বছরের মে মাসের শেষে খুন হন সুবাস। বিক্ষোভে উত্তাল হয় পাটছড়া।

তার পরেই কালীশঙ্কর-সহ সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর নির্দেশে কোচবিহার-১ নম্বর তাঁকে দল বহিষ্কারও করে। এ বারে জামিন পাওয়ার পরে সেই কালীশঙ্কর আবার প্রার্থী। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মিহির এখন বলেন, “ওই ব্যাপারে যা বলার দলের জেলা সভাপতি বলবেন।” দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “অভিযোগ উঠলেই কেউ দোষী হয় না। অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তাই প্রার্থী হতে অসুবিধে নেই।”

West Bengal Panchayat Election 2018 West Bengal Panchayat Election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy