প্রতীকী ছবি।
১৭টি পুরসভার ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোটের প্রস্তুতি স্বরূপ ডিলিমিটেশন ও ওয়ার্ড সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চেয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি পাঠাতে চলেছে কমিশন। প্রশাসনিক স্তরের খবর, ১৭টি পুরসভাতে আগামী নভেম্বরে ভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার।
আগামী অক্টোবর মাসেই উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের ১১টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। পাশাপাশি, নভেম্বরে ফুরোচ্ছে গুসকরা পুরসভার মেয়াদ। আর ডিসেম্বরে হাওড়া-সহ পাঁচ পুরসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে বলে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে চলতি বছরে ওই ১৭টি পুরসভার ৪০৪টি ওয়ার্ডে ভোট হতে পারে।
১২টি পুরসভার ভোট সেপ্টেম্বরে করতে হলে এখন থেকেই ডিলিমিটেশন এবং ওয়ার্ডের সংরক্ষণ সংক্রান্ত কাজ শুরু করা প্রয়োজন। কারণ, এই দু’টি বিষয়ের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে ৬০ দিন মতো সময় লাগে। সে কারণে ওই প্রক্রিয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের মত জানতে চাইছে কমিশন। সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে সেই সংক্রান্ত চিঠিও পৌঁছবে। ডিলিমিটেশন এবং ওয়ার্ড সংরক্ষণের বিষয়ে রাজ্যের মতামত আসার পরে পরবর্তী কাজ শুরু করতে পারে কমিশন।
মেয়াদকাল
অক্টোবর
আলিপুরদুয়ার, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, ডালখোলা, বালুরঘাট, চাকদহ,
পানিহাটি, হাবরা, ডায়মন্ড হারবার, দুবরাজপুর, বর্ধমান
নভেম্বর
গুসকরা
ডিসেম্বর
হাওড়া, কৃষ্ণনগর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বহরমপুর
নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী অক্টোবরে ১১টি এবং নভেম্বরে গুসকরা পুরসভার মেয়াদ শেষ হবে। সে কারণে ওই সব পুরসভায় কয়েক দিনের জন্য প্রশাসক বসতে পারে বলে মত পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তাদের একাংশের। তাঁদের মতে, নভেম্বরে ভোট হলে মাত্র কয়েক দিনের জন্যই প্রশাসক বসাতে হবে।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ লগ্নে ভোট হওয়া ১২টি পুরসভার মধ্যে হলদিবাড়ি এবং ডালখোলাতে জিতেছিল কংগ্রেস। মেখলিগঞ্জ ছিল বামেদের দখলে। আলিপুরদুয়ারে ফল হয়েছিল ত্রিশঙ্কু। বাকি আটটি পুরবোর্ড পেয়েছিল তৃণমূল। আর নভেম্বরের শেষ দিকে হওয়া ভোটে বহরমপুর বাদে বাকি চারটি জিতেছিল শাসকদল। পরে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের কাউন্সিলরেরা দববদল করায় বর্তমানে ১৭টি পুরবোর্ডই পরিচালনা করছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy