আশঙ্কা সত্যি হল! বাজি ঠেকানোর ‘টেস্ট’-এ পাশ করতে পারল না পুলিশ-প্রশাসন। খাস কলকাতাতেই সন্ধ্যায় একের পর এক অভিযোগ গিয়েছে লালবাজার কন্ট্রোল রুম ও পরিবেশকর্মীদের সংগঠন সবুজ মঞ্চের কাছে। রাত ১১টা পর্যন্ত লালবাজারে প্রায় ৬৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ৬৯ জন। বিপুল শব্দবাজি আটক করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। সবুজ মঞ্চের কাছে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহানগর এলাকা থেকে ১৮টি অভিযোগ মিলেছে। হাওয়া বিষিয়েছে জেলাগুলিতেও।
বায়ুদূষণ রুখতে আতসবাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে দু’ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়সীমা মেনে এ রাজ্যেও বাজি পোড়ানোর সময় ধার্য করা হয়েছিল রাত ৮টা থেকে ১০টা। কিন্তু ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বসানো দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের যন্ত্র বলছে, রাত ৮টায় সেখানে বায়ুদূষণ সূচক ৮৮। একটু দূরে ক্যামাক স্ট্রিটে মার্কিন কনস্যুলেটের যন্ত্রে সূচক দাঁড়িয়েছে ১৮৭। এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘প্রচুর শব্দবাজি বিক্রি হয়েছে। কালীপুজোর সন্ধ্যা থেকে আসা অভিযোগ তারই প্রমাণ। বায়ুদূষণের তথ্যও আতসবাজি নিয়ে নির্দেশ না-মানার প্রমাণ।’’
তেঘড়িয়া, বাগুইআটি, কৈখালিতে রাত ১০টার পরেও প্রচুর বাজি ফেটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। দমদম স্টেশন ও সেভেন ট্যাঙ্ক এলাকায় বিপুল শব্দবাজি ফেটেছে।