নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ এখন নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছেন। সেই সূত্রে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও যাতায়াত শুরু হয়েছে তাঁর। তাতেই আশঙ্কা প্রকাশ করে পুলিশে অভিযোগ জানান নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে নিখোঁজ দুই ব্যক্তির স্ত্রী।
নন্দীগ্রাম-নিখোঁজ মামলায় ২০১২ সালের মার্চে গ্রেফতার হন লক্ষ্মণবাবু। প্রায় চার মাস পরে জামিন পান তিনি। তখন থেকেই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার শুনানির দিন ছাড়া জেলায় ঢুকতে পারতেন না লক্ষ্মণবাবু। ইতিমধ্যে তিনি সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন। তারপর ‘ন্যাশনাল কনফেডারেসি অফ ইন্ডিয়া’ (এনসিএ) নামে নতুন এক দলে যোগ দেন। গত ১ ডিসেম্বর তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ে ওই দলের প্রকাশ্য সভায় হাজির ছিলেন লক্ষ্মণবাবু। তারপরই ২ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম পর্বে নিখোঁজ ভগীরথ মাইতির স্ত্রী সুষমাদেবী এবং বলরাম সিংহের স্ত্রী কল্যাণীদেবী তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই দুই অভিযোগকারিণীর বক্তব্য, লক্ষ্মণ শেঠের জেলায় ঢোকার অনুমতিই ছিল না। এখন তিনি শুধু জেলায় আসছেন তা-ই নয়, প্রকাশ্যে সভাও করছেন। এর ফলে জেলায় ফের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। তৃণমূলের নন্দীগ্রাম ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, “লক্ষ্মণ শেঠ আদালতের নির্দেশেই জেলায় ঢুকছেন বলে দাবি করছেন। আদালতের নির্দেশকে আমরা মান্য করি। কিন্তু জেলায় ওঁর যাতায়াত আমরা মানতে পারছি না। নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের মতো ঘটনায় উনি যে ভূমিকা নিয়েছিলে, তাতেই আমাদের আশঙ্কা বেড়েছে।”
এনসিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক তথা কোলাঘাটের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক অমিয় সাহু অবশ্য বলেন, “এমন কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানি না।” জেলার পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনেরও বক্তব্য, “লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি আমার নজরে নেই। তবে এমন অভিযোগ হয়ে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিন লক্ষ্মণবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy