Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

এসএসসি পরীক্ষা দু’দফায়, প্রথমটি ৯ মার্চ

সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি এ বার দু’দফায় পরীক্ষা নেবে। প্রথম দফায় পরীক্ষা নেওয়া হবে পঞ্চম থেকে অষ্টম পর্যন্ত চারটি শ্রেণিতে পড়ানোর শিক্ষক বাছাইয়ের জন্য। সেই পরীক্ষার নাম টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ ২২:০৪
Share: Save:

সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি এ বার দু’দফায় পরীক্ষা নেবে। প্রথম দফায় পরীক্ষা নেওয়া হবে পঞ্চম থেকে অষ্টম পর্যন্ত চারটি শ্রেণিতে পড়ানোর শিক্ষক বাছাইয়ের জন্য। সেই পরীক্ষার নাম টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)।

সেটা হবে ৯ মার্চ। আর নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত বাকি চারটি শ্রেণিতে পড়ানোর শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হবে এপ্রিলে।

পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের জন্য শিক্ষক নিয়োগের টেট-এর ফল ৩১ মার্চের মধ্যে বেরোবে বলে কমিশনের খবর। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য জানান, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮৪৭টি ডাকঘরে এই পরীক্ষার আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। পরীক্ষার সবিস্তার তথ্য জানা যাবে এসএসসি-র ওয়েবসাইট www.westbengalssc.com, www.wbsschelpdesk.com-এ।

পাশ পাঠ্যক্রমের যে-সব স্নাতক অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, তাঁরা এই স্তরের জন্য পরীক্ষা দিতে পারবেন। অনার্স স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরাও চাইলে এই পরীক্ষা দিতে পারেন। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই-র নিয়ম মেনে এই পরীক্ষা হবে ১৫০ নম্বরের। এই স্তরে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় চার হাজার। পরে তা বেড়ে ১০-১২ হাজারে পৌঁছতে পারে বলে কমিশনের কর্তারা জানান।

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষকতার জন্য অবশ্য টেট হবে না। ওই স্তরে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হবে প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপরে। এই স্তরে পরীক্ষা দিতে পারবেন শুধু অনার্স স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা। সুবীরেশবাবু বলেন, “অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এনসিটিই-র নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক। তার পরে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয় রাজ্য সরকারের নিয়মে। তাই এই স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টেট বাধ্যতামূলক নয়।” এই স্তরে শূন্য পদের সংখ্যা আপাতত সাত হাজার। তবে সেটাও অনেক বেড়ে ২০-২২ হাজার ছুঁতে পারে বলে মনে করছে কমিশন।

২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষক-পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিয়েছে। এর মধ্যে পরবর্তী পরীক্ষার দিন, পদ্ধতি ইত্যাদি জানিয়ে নির্দেশিকা জারি করলে আইনি জটের আশঙ্কা থাকে না? কমিশনের সহকারী সচিব অমিতেশ বিশ্বাস বলেন, “দু’টি পরীক্ষা পৃথক। নতুন পরীক্ষা নিয়ে তো কোনও মামলা নেই। তাই আইনি জটিলতারও কারণ নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ssc exam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE