তৃণমূল এবং বিজেপি-র চাপে রাজ্যে ক্রমেই জমি হারাচ্ছে কংগ্রেস। হারানো জমি পুনরুদ্ধারে এবং জনসংযোগের চেষ্টায় এ বার জঙ্গলমহল থেকে পাহাড় পর্যন্ত পদযাত্রায় বেরোবেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মানস ভুঁইয়া। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে পদযাত্রার দিনক্ষণ ঠিক হবে তিনি রবিবার জানিয়েছেন।
সদ্যই বনগাঁ ও কৃষ্ণগঞ্জ উপনির্বাচনে গড়ে মাত্র ২% ভোট পেয়ে রাজ্য রাজনীতিতে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার মুখে চলে গিয়েছে কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দিল্লির বিধানসভা ভোটেও ঝুলি শূন্য হয়েছে কংগ্রেসের। তবে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানসবাবুর দাবি, এই পতন সাময়িক। পাটিগণিত দিয়ে রাজনীতিতে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। ভবিষ্যতে দলের হাল ফিরবে। কলকাতা প্রেস ক্লাবে মানসবাবু এ দিন বলেন, “কংগ্রেসকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা চলছে। সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর নেতৃত্ব নিয়ে নানা টিপ্পনী করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের নেতৃত্বেই কংগ্রেস কর্মীরা গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাবেন।” বিজেপি-র বিভাজনের রাজনীতি স্থায়ী হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
অতীতে কংগ্রেস নেতা হিসাবে প্রণব মুখোপাধ্যায় ১৮২ কিলোমিটার পদযাত্রা করেন। মুর্শিদাবাদে কান্দি মাস্টার প্ল্যানের সমর্থনে অধীর চৌধুরী হেঁটেছিলেন ১৮৬ কিলোমিটার, মালদহে মৌসম বেনজির নূরের ১১৮ কিলোমিটার হাঁটার নজির আছে। আর মানসবাবু মেদিনীপুর থেকে ২৫০ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছেন কিছু দিন আগে। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্যের সব চেয়ে দুর্গত, অত্যাচারিত জেলা থেকে পদযাত্রা করে জনসংযোগ গড়ে তুলব। মানুষের পাশে গিয়ে কংগ্রেস দাঁড়াবে। ঘরে বসে বৈঠক আর নয়!” বিজেপি-র সাম্প্রদায়িকতা ও তৃণমূলের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু কর্মসূচি প্রদেশ সভাপতির বদলে তিনি ঘোষণা করছেন কেন? মানসবাবুর ব্যাখ্যা, “আমি দলেরই সৈনিক। প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই পদযাত্রার স্থান-কাল ঠিক করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy