Advertisement
E-Paper

কর্মিসভা মুনমুনের, জনসভা ধরেই আয়োজন

মেদিনীপুর দেখে ফেলেছে দেব, সন্ধ্যা রায়দের। আসানসোল পেয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র দেখা। এ বার ‘তারা’ প্রত্যক্ষ করার আশায় উত্তেজনায় ফুটছেন বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। সব ঠিক থাকলে, আজ রবিবার প্রথমে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া এবং পরে বাঁকুড়া শহরের কর্মিসভায় যাওয়ার কথা মুনমুন সেনের। বাঁকুড়া লোকসভা আসনে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধায় ও শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৪ ০৫:১৬

মেদিনীপুর দেখে ফেলেছে দেব, সন্ধ্যা রায়দের। আসানসোল পেয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র দেখা। এ বার ‘তারা’ প্রত্যক্ষ করার আশায় উত্তেজনায় ফুটছেন বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। সব ঠিক থাকলে, আজ রবিবার প্রথমে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া এবং পরে বাঁকুড়া শহরের কর্মিসভায় যাওয়ার কথা মুনমুন সেনের। বাঁকুড়া লোকসভা আসনে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। শনিবার যিনি বলেছেন, “আমি যাচ্ছি মানুষের ভালবাসা পেতে।”

জেলার তৃণমূল নেতাদের অনেকেই চিন্তিত ভিড় সামলানো নিয়ে। কারণ, তাঁদের ধারণা, শুধু মুনমুনের কারণেই কর্মিসভা কার্যত জনসভার চেহারা নিতে পারে।

সূচি অনুযায়ী, পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার সরবড়ি কমিউনিটি হলে কর্মিসভায় হাজির থাকবেন মুনমুন। কারণ, বাঁকুড়া লোকসভার মধ্যে রঘুনাথপুর-১, নিতুড়িয়া এবং সাঁতুড়িপুরুলিয়ার এই তিনটি ব্লকও পড়ে। সেই কমিউনিটি হলে বড়জোর ৬০০ লোকের জায়গা হতে পারে। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে কমিউনিটি হলের গায়েই বাঁধা হয়েছে প্যান্ডেল। রঘুনাথপুরের তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরির দাবি, “প্যান্ডেলেও হাজার তিনেক লোক ধরবে। যদি তাতেও ভিড় সামলানো না যায়, সে ক্ষেত্রে মুনমুনদিকে অল্প দূরত্বের জন্য রোড শো করার প্রস্তাব দেব।”

রবিবার বিকেলে পুরুলিয়া হয়ে বাঁকুড়া সদরে পৌঁছনোর কথা সুচিত্রা সেনের কন্যার। সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। থাকার কথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও। বাঁকুড়া তৃণমূলের কো-চেয়ারম্যান তথা জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘সব ঠিক থাকলে বিকেল ৪টে নাগাদ মুনমুন এসে পৌঁছবেন। আমরা ঝুঁকি নিইনি। কর্মিসভার জন্য বাঁকুড়া স্টেডিয়ামকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।”

জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রের খবর, স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসার ব্যবস্থা রয়েছে প্রায় আট হাজার মানুষের। মাঠে লোক বসালে সর্বাধিক ২৫ হাজার জনের ঠাঁই হতে পারে। তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন, গ্যালারি, চেয়ার ও মাঠ মিলিয়ে তাঁরা প্রায় ৩০ হাজার কর্মীর বসার ব্যবস্থা করছেন। উচ্চ মাধ্যমিকের জন্যে প্রকাশ্যে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকায় গোটা স্টেডিয়ামটিই ত্রিপলে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কর্মিসভার জন্য মাঠের মাঝখানে ১৫ ফুট বাই ৩০ ফুটের মঞ্চ গড়া শেষ হয়েছে এ দিন। পাতা হয়েছে প্রায় ৮০০ চেয়ার (তাতে সবুজ চেয়ারই সংখ্যাগরিষ্ঠ)।

বিষ্ণুপুর, বড়জোড়া, সোনামুখী, পাত্রসায়রের মতো ব্লকগুলো বাঁকুড়া লোকসভার মধ্যে না পড়লেও ওই সব ব্লক থেকেও তৃণমূল কর্মীরা সভায় যোগ দিতে উৎসুক। অনেকেই দলবেঁধে গাড়ি ভাড়া করে কর্মিসভায় আসতে চান। শুধু দলের কর্মীরাই নন, মুনমুনকে দেখতে সাধারণ মানুষও ভিড় জমাবেন বলে অনুমান তৃণমূল নেতৃত্বের। তার পরেও ভিড় এড়াতে মেদিনীপুরের দেবের সভার মতো বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে ঢোকার কোনও প্রবেশপত্র রাখা হয়নি। দলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁর যুক্তি, “মানুষের উৎসাহকে দমাতে চাই না। সকলকে অনুরোধ, যাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখেন।” যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভিড় সামলাতে দলের যুব কর্মীদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার জানান, শহরের জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেবে জেলা পুলিশ।

সাধারণ কমী-সমর্থক তো বটেই, মুনমুনের সফর নিয়ে উত্তেজিত দুই জেলার তৃণমূলের নেত্রীরাও। মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা বড়জোড়ার তৃণমূল নেত্রী টিঙ্কু মণ্ডল বা সাঁতুড়ির মুরাড্ডি পঞ্চায়েতের প্রধান টুকটুক সরকারেরা বলেছেন, “মহানায়িকাকে দেখার সুযোগ হয়নি। তাঁরই তো মেয়ে মুনমুনদি। ওঁকে চোখের সামনে দেখতে পাওয়াটা অন্য ব্যাপার! কর্মিসভায় যেতেই হবে।”

munmun sen rajdip bondopadhya subhraprakash mondal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy