Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

টেনেহিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে কুণালকে সরালো পুলিশ

ফের আদালত চত্বরে পুলিশি নিগ্রহের শিকার হলেন কুণাল ঘোষ। কুণালের বক্তব্য যাতে সর্বসমক্ষে না আসে সে জন্য আগে নানা পন্থা নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের দেখে কথা বলতে এগিয়ে আসা কুণালকে যে ভাবে টেনে-হিঁচড়ে, ধাক্কা মারতে মারতে কার্যত চ্যাংদোলা করে লিফটে তুলে নিয়ে যাওয়া হল, তা নজিরবিহীন বলে জানাচ্ছেন আইনজীবীদেরও একাংশ।

কুণালকে জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে। ছবি: শৌভিক দে।

কুণালকে জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে। ছবি: শৌভিক দে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৫ ২১:৫৬
Share: Save:

ফের আদালত চত্বরে পুলিশি নিগ্রহের শিকার হলেন কুণাল ঘোষ।

কুণালের বক্তব্য যাতে সর্বসমক্ষে না আসে সে জন্য আগে নানা পন্থা নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের দেখে কথা বলতে এগিয়ে আসা কুণালকে যে ভাবে টেনে-হিঁচড়ে, ধাক্কা মারতে মারতে কার্যত চ্যাংদোলা করে লিফটে তুলে নিয়ে যাওয়া হল, তা নজিরবিহীন বলে জানাচ্ছেন আইনজীবীদেরও একাংশ। কুণালের আইনজীবী সৌম্যজিৎ রাহা বলেছেন, ‘‘এ দিন সকলের চোখের সামনে যে ভাবে মারধর করা হল, তা মানা যাচ্ছে না।’’ কুণালের অভিযোগ, তাঁর বুকে-পেটে লাথিও মেরেছে পুলিশ। পুলিশের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ দিন এসিজেএমের কাছে অভিযোগ করেন আইজীবীদের একাংশ।

সারদা কাণ্ডে সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুরনো চারটি মামলায় এ দিন আদালতে হাজির করানো হয়েছিল সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও সাংসদ কুণাল ঘোষকে। কুণাল বিচারককে বলেন, আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে যেন তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হোক। ওই সময়ে পুলিশ যেন তাঁকে মারধর না করে তা দেখার জন্য তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেন। বিচারক মনদীপ সাহারায় তাঁকে বলেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন।

কিন্তু, বিকেল ৪টে নাগাদ আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের দিকে এগিয়ে যেতেই কুণালকে ঘিরে ধরলেন বিধাননগর পুলিশের দুই কর্তা। তাঁদের সঙ্গে ছিল বিরাট বাহিনী। তাদের একাংশ আটকাতে থাকে সাংবাদিকদের। বচসা, ধাক্কাধাক্কিতে প্রথমে মাটিতে পড়ে যান সাংসদ। এর পরে পুলিশ টেনে-হিঁচড়ে তাঁকে তুলে নেয় লিফটের মধ্যে। সেখান থেকেই আর্তনাদ করতে থাকেন কুণাল। বলতে থাকেন, ‘‘আমাকে মারবেন না।’’

পুলিশ যদিও কুণালকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিধাননগরের এডিসিপি দেবাশিস ধর বলেন, ‘‘এ সব মিথ্যা অভিযোগ। কুণাল নিজেই আদালত চত্বর থেকে বেরোতে চাইছিলেন না। কোনও মারধর করা হয়নি।’’ বেলা ৫টা নাগাদ কুণালকে আদালত থেকে বের করা হয়। ফের পুলিশি হেনস্থা নিয়ে সরব হতেই আরও এক বার কুণালকে জাপটে ধরে ধাক্কা দিতে দিতে প্রিজন ভ্যানের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। প্রিজন ভ্যানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি দেখতে চাই, বিধাননগর উত্তর থানার ওসির কত বুলেট আছে। বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিলে ফেলে পেটাবো।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE