Advertisement
০৬ মে ২০২৪

দিল্লি-প্রতারণায় মমতা ঘনিষ্ঠের জামিন বহাল

মুখ্যমন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী শিবাজি পাঁজার জামিন বহাল রাখল বারাসত আদালত। প্রতারণায় অভিযুক্ত শিবাজির জামিন খারিজ করতে দিল্লি পুলিশ যে আর্জি জানিয়েছিল, বুধবার ওই আদালত তা নাকচ করে দিয়েছে। তবে ব্যারাকপুর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিবাজিকে ১০ মার্চের মধ্যে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৫ ০৩:১৪
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী শিবাজি পাঁজার জামিন বহাল রাখল বারাসত আদালত। প্রতারণায় অভিযুক্ত শিবাজির জামিন খারিজ করতে দিল্লি পুলিশ যে আর্জি জানিয়েছিল, বুধবার ওই আদালত তা নাকচ করে দিয়েছে। তবে ব্যারাকপুর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিবাজিকে ১০ মার্চের মধ্যে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরে প্রতিনিধিদলের সদস্য ছিলেন শিবাজি। সফর সেরে ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কলকাতায় নেমে বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের হাতে তিনি আটক হন। কেননা দিল্লি পুলিশ তাঁর নামে লুক আউট কর্নার (এলওসি) নোটিস জারি করেছিল, পাসপোর্ট পরীক্ষায় যা ধরা পড়ে। শিবাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লির এক সংস্থাকে তিনি প্রতারণা করেছেন।

ওই রাতেই শিবাজিকে গ্রেফতার করে পর দিন (২২ ফেব্রুয়ারি) ব্যারাকপুর কোর্টে পেশ করা হয়। বিচারক শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত জানায়, ১০ মার্চের মধ্যে শিবাজিকে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

এর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ বারাসত কোর্টে আবেদন করেছিল। মামলার সূত্রে দিল্লি পুলিশের দুই অফিসার সন্তোষ ঝা ও হাবিব খান এ দিন বারাসত আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন। শিবাজির বিরুদ্ধে যে সংস্থাকে প্রতারণার অভিযোগ, সেই ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (আইএফসিআই)-র কৌঁসুলি মনদীপ সিংহ বিনায়কও দিল্লি থেকে আসেন। শিবাজির জামিনের বিরোধিতা করে তিনি কোর্টকে জানান, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সরবরাহের নামে শিবাজি আইএফসিআই থেকে টাকা নিয়েছেন। অথচ যন্ত্রাংশ তো মেলেইনি, উপরন্তু ওই ব্যবসায়ী বেশ কিছু জাল নথি জমা দিয়েছেন। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা দরকার বলে মনদীপ দাবি করেন।

শিবাজির পক্ষে সওয়াল করেন রাজদীপ মজুমদার ও সৌম্যজিৎ রাহা। তাঁরা যুক্তি দেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই তাঁদের মক্কেলের নামে এলওসি জারি করা হয়েছে। উপরন্তু ব্যারাকপুর কোর্টে শিবাজির বিরুদ্ধে কোনও তথ্যই পুলিশ পেশ করতে পারেনি।

দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বারাসতের জেলা জজ অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় দিল্লি পুলিশের আর্জি নাকচ করে ব্যারাকপুর আদালতের জামিন-রায়ই বহাল রাখেন।

রায় ঘোষণার পরে শিবাজির প্রতিক্রিয়া, “বিষয়টি বিচারাধীন। আইনি ব্যবস্থার উপরে আমার সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।” তাঁর কৌঁসুলি রাজদীপবাবু জানান, ব্যারাকপুর কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক শিবাজির তরফে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দিল্লি পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

shibaji panja mamata-aide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE