মুকুল রায়ের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত কাজ হল। কাল থেকে ৭২ ঘণ্টার বাস ধর্মঘটের ডাক তুলে নিলেন মালিকদের একাংশ। বাকি অংশের তরফে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষিত না-হলেও তাঁরা একই পথে হাঁটতে চলেছেন বলে ইঙ্গিত।
ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে কাল, বুধবার থেকে ৭২ ঘণ্টার বাস-মিনিবাস ধর্মঘট ডেকেছিলেন মালিকেরা। এই সময়েই লগ্নি আকর্ষণের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গাপুর পাড়ি দিয়েছেন, এবং ঘটনাচক্রে কালই সেখানে তাঁর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, অর্থাৎ শিল্প সম্মেলন করার কথা। এমন একটা সময়ে বাস ধর্মঘটের ডাকে শাসক দল বিব্রত হয়ে পড়েছিল। রাজ্যে গণ পরিবহণের টালমাটাল পরিস্থিতির খবর শিল্পপতি মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা জেগেছিল তৃণমূলের অন্দরে।
এই প্রেক্ষাপটে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আর্জি নিয়ে ৯ অগস্ট থেকে মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। রবিবারেও আলোচনা হয়। তবু রফা-সূত্র মেলেনি। সোমবার সকালেও মালিকেরা ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তাঁরা জানিয়ে দেন, সরকারের পক্ষ থেকে ভাড়াবৃদ্ধির সুনিশ্চিত আশ্বাস না-মেলা পর্যন্ত ধর্মঘট তোলা হবে না। কিন্তু রাত গড়াতেই তাঁদের অবস্থান বদলে যায়। রাজ্যে বেসরকারি বাস-মালিক সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে এ দিন রাতে ফের মকুলবাবুর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। আলোচনা সেরে ‘বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট’-এর নেতা দীপক সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে নেই। এ অবস্থায় মুকুলবাবু অনেক বার ধর্মঘট তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। বাধ্য হয়েই আমরা ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
মালিকদের অন্য দু’টি সংগঠনের তরফে অবশ্য এত নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটসের সাধন দাস ও মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি-র অবশেষ দাঁ’র বক্তব্য, “মুকুলবাবু আমাদেরও অনুরোধ করেছেন। তাঁর বার্তা নিয়ে আমরা মঙ্গলবার সকাল এগারোটায় ফের সংগঠনের বাকি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসব। তার পরে সিদ্ধান্ত জানাব।” সংগঠন-সূত্রের খবর, সরকার তথা শাসকদলের চাপে শেষমেশ তাঁরাও ধর্মঘট তুলে নেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy