রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণের নিশানায় তিনি। দলের ভিতরে-বাইরে, অন্দরের বৈঠকে বা প্রকাশ্যে, অজস্র বিষয়ে সমালোচনার লক্ষ্য তিনিই। কিন্তু খোদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতে, দলের নেতৃত্বের আসনে থাকলে এমন ঘটনা স্বাভাবিক। এতে বিচলিত না-হয়েই নিজের দায়িত্ব পালন করে যেতে চান সিপিএমের এই পলিটব্যুরো সদস্য।
বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পরে তিন বছরে শুক্রবারই প্রথম কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা থেকে লক্ষ্মণ শেঠেরা তোপ দেগেই চলেছেন। কেন? বুদ্ধবাবু জবাব দিয়েছেন, “ঘটনাচক্রে, আমি পার্টির সর্বোচ্চ স্তরের নেতৃত্বের এক জন। তাই এ সবের মধ্যে পড়তে হয়েছে!”
কিছু দিন আগেই নেতাই নিয়ে ভুল স্বীকার করে দলের অন্দরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বুদ্ধবাবু। শেষ পর্যন্ত দলের চাপেই তাঁকে মেনে নিতে হয়, ওই মন্তব্য না-করলেই ভাল হতো। যদিও অনেকে মনে করেন, ভুল কিছু বলেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দলের মধ্যেকার বিড়ম্বনার জেরে এখন আর নেতাই নিয়ে মুখই খুলতে চাইছেন না বুদ্ধবাবু। ওই নিয়ে প্রশ্ন শুনে এ দিন বলেছেন, “ওটা আর পুনরাবৃত্তি করার দরকার নেই।”
বুদ্ধবাবু সমালোচনার মুখে অবিচল থাকতে চাইলেও লক্ষ্মণবাবুর তোপও অব্যাহত! তাঁর বিরুদ্ধে শত্রু শিবিরের সঙ্গে সমঝোতা করে বামফ্রন্টকে হারানোর চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। লক্ষ্মণবাবুর প্রতিক্রিয়া, “সাত দিন সময় দিলাম। তার মধ্যে ওরা যদি আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারে, তা হলে বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও সূর্যকান্ত মিশ্রকে পদত্যাগ করতে হবে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy