Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

নিম্ন আদালতে নিতুর জামিনের আর্জি নামঞ্জুর

কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ধৃত ইস্টবেঙ্গল-কর্তার দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুর জামিনের আবেদন এ বার নাকচ হয়ে গেল আলিপুর জেলা আদালতেও। সোমবার জেলা ও দায়রা বিচারক সমরেশপ্রসাদ চৌধুরী এই রায় দেন। এ দিন জামিন রুখতে নিতুর বিরুদ্ধে কেস ডায়েরি এবং একাধিক নথিপত্র দাখিল করে সিবিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:২৫
Share: Save:

কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ধৃত ইস্টবেঙ্গল-কর্তার দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুর জামিনের আবেদন এ বার নাকচ হয়ে গেল আলিপুর জেলা আদালতেও। সোমবার জেলা ও দায়রা বিচারক সমরেশপ্রসাদ চৌধুরী এই রায় দেন।

এ দিন জামিন রুখতে নিতুর বিরুদ্ধে কেস ডায়েরি এবং একাধিক নথিপত্র দাখিল করে সিবিআই। সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং নিতু যে নিয়মিত সেবি-র অফিসে যেতেন, তা প্রমাণ করতে সেবি অফিসের ভিজিটর্স রেজিস্টার এবং সেবি-কর্তাদের গোপন জবানবন্দিও আদালতে পেশ করে তারা।

সিবিআইয়ের আইনজীবী কে রাঘবচারুলু এ দিন আদালতে জানান, ২০১০ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে সারদার দু’কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। কিন্তু সারদার কাছ থেকে নিতু অনেক বেশি টাকা নিয়েছেন। এই বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-ও তদন্ত করছে। সেবি-কর্তাদের একাংশকে প্রভাবিত করার জন্যও সুদীপ্তের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন নিতু। সারদার অফিসেও তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সিবিআইয়ের অভিযোগ, নিতুর উদ্যোগে উত্তর-পূর্ব ভারতে একটি আর্থিক সচেতনতা শিবির করা হয়েছিল। তাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সারদার ব্যবসা বাড়ানোর কথা বলা হয়। সেই শিবিরে নিয়ম ভেঙে সেবি-র লোগোও ব্যবহার করা হয়েছিল।

নিতুর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় এ দিন আদালতে বলেন, তাঁর মক্কেল ১৮৭ দিন ধরে জেলে আছেন। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন জামিন পেলেও (অন্য মামলায় অবশ্য তিনি এখনও বন্দি) নিতু এখনও বন্দিই। এই মামলায় মূল এবং সাপ্লিমেন্টারি বা পরিপূরক চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ওই সংস্থা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কিছু বলছে না। সেবি-র মতো নিয়ামক সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

মিলনবাবুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, কেউ অনেক দিন ধরে জেলে রয়েছেন বলেই জামিন পেয়ে যাবেন, এমন যুক্তি এই মামলার ক্ষেত্রে মেনে নেওয়া উচিত হবে না। সাধারণ নাগরিকের টাকা নয়ছয়ের এই মামলার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই এই মামলায় নির্দিষ্ট দিনের হেফাজত এবং চার্জশিট পেশ হয়ে যাওয়ার যুক্তিতে অভিযুক্তদের তড়িঘড়ি জামিন দিলে সিবিআই এবং আদালতের উপরে সাধারণ মানুষের ভরসা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সিবিআই জানিয়েছে, সারদা গোষ্ঠী ও নিতুর যোগাযোগ এবং সংশ্লিষ্ট লেনদেনের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সেবি-র বেশ কিছু কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কয়েক জন আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন। সেগুলো ইতিমধ্যে এই আদালতে দাখিলও করেছেন তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। কোম্পানি নিবন্ধক এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো নিয়ামক সংস্থার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE