Advertisement
E-Paper

পুর-ভোট নিয়ে রাজ্যের দাবি খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন

ইতিমধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে রাজ্যের ১০ টি পুরসভার। জানুয়ারি মাসে এই পুরসভাগুলিতে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজ্যের ইচ্ছে, দু’মাস বাদেই যেহেতু আরও ৮১টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হবে, তাই এপ্রিলেই সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করা হোক। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় এ কথা জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩১

ইতিমধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে রাজ্যের ১০ টি পুরসভার। জানুয়ারি মাসে এই পুরসভাগুলিতে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজ্যের ইচ্ছে, দু’মাস বাদেই যেহেতু আরও ৮১টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হবে, তাই এপ্রিলেই সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করা হোক।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় এ কথা জানান। তিনি বলেন, “আগামী জানুয়ারিতে রাজ্যের ১০টি পুরসভার নির্বাচন করার প্রশাসনিক পদক্ষেপ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে গত শুক্রবার চিঠি দিয়ে জানানো হয়, দু’মাস বাদে রাজ্যের আরও ৮১টি পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মাত্র দু’মাসের মধ্যে দু’বছর পুর নির্বাচন না করে একবারে ৯১টি পুরসভার নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়। এতে প্রশাসনিক ও খরচের দিক দিয়ে সুবিধা হবে বলে রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনকে যুক্তি দেখানো হয়েছে।” সুশান্তবাবু বলেন, “রাজ্য সরকারের ওই প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদালতের তরফে এ নিয়ে কোনও বাধ্যবাধকতা রয়েছে কী না, জানার পর রাজ্যের ওই প্রস্তাবের উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

সুশান্তবাবু জানান, পুর আইন অনুযায়ী, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার বসে পুর নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় ঠিক করবে। তাই একসঙ্গে ভোট করা নিয়ে আইনি সমস্যা না থাকলে রাজ্যের ইচ্ছাই মানতে বাধ্য থাকবে নির্বাচন কমিশন, এমনই ইঙ্গিত সুশান্তবাবুর।

তবে সরকারি সূত্রের খবর, জানুয়ারিতে রাজ্যের ১০টি পুরসভার নির্বাচন প্রক্রিয়া না হলে প্রশাসনিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এপ্রিলে একসঙ্গে পুরভোট করা হলে মেয়াদ উত্তীর্ণ ১০টি পুরসভায় প্রশাসকের কার্যকাল ৬ মাস পেরিয়ে যাবে। প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।”

ওই জটিলতার প্রশ্নে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, “চলতি বছরের ২২ জুলাই আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পদে যোগ দিয়েছি। তার আগে পুরভোট নিয়ে পূর্বতন কমিশনার মীরা পান্ডের দায়ের করা রিট পিটিশনের নিষ্পত্তি আদালতে হয়েছে। আমরা সামনের বছর জানুয়ারিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও প্রশাসক দ্বারা পরিচালিত রাজ্যের ১০টি পুরসভার নির্বাচন করতে বিভাগীয় কাজকর্ম প্রায় সেরে ফেলেছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকার একসঙ্গে পুরভোট করতে চেয়ে ওই আবেদন করায় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

balurghat vote municipality election commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy