Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ফোনে রামবিলাস-মমতা কথা

মুখোমুখি বৈঠক হল না, শুধু টেলিফোনে কথা। শনিবার কলকাতায় ছ’ঘণ্টা ছিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু ‘ব্যস্ত’ মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীকে সময় দেননি।

সপরিবার। ছেলে চিরাগ ও স্ত্রী রীনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। শনিবার শহরের এক হোটেলে।—নিজস্ব চিত্র।

সপরিবার। ছেলে চিরাগ ও স্ত্রী রীনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। শনিবার শহরের এক হোটেলে।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৪ ০২:৫২
Share: Save:

মুখোমুখি বৈঠক হল না, শুধু টেলিফোনে কথা।

শনিবার কলকাতায় ছ’ঘণ্টা ছিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু ‘ব্যস্ত’ মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীকে সময় দেননি। টেলিফোনেই একপ্রস্ত কথা হয় দু’জনের। তবে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন রামবিলাস।

এ দিন বিকেলে পাসোয়ান জানান, দুপুরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। পাসোয়ান বলেন, “মমতাজি বলেছেন, আমরা পুরানো বন্ধু। পরে কখনও এক সঙ্গে বসে কথা বলব।” পাসোয়ান জানান, ফের কলকাতায় এলে মুখ্যন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। তবে এ দিন সকালে বিমানবন্দরে নেমে খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “জানি না। ওঁর কাছে সময় নেই বোধ হয়। কিন্তু, আমাদের যে অফিসারেরা আছেন, তাঁরা রাজ্যের অফিসারদের সঙ্গে বসে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।” কেন এই আলোচনা? কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী জানান, খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু করার ক্ষেত্রে রাজ্যের সমস্যা শোনা জরুরি।

রাজ্যে খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু করার সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়ানোর কথা জানান পাসোয়ান। ইউপিএ জমানায় পাশ হওয়া এই আইন মাত্র ১১টি রাজ্য কার্যকর করেছে। বাকি রাজ্যগুলি নানা আপত্তি তুলেছে। তার মধ্যে গুজরাত যেমন রয়েছে, রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। এ রাজ্যের দাবি, ওই আইন কার্যকর হলে বাড়তি খরচের বোঝা কেন্দ্র বহন করুক। এ ব্যাপারে কোনও আশ্বাস না দিয়ে পাসোয়ান জানান, মুখ্যমন্ত্রী এর আগে আইন কার্যকরের জন্য ছ’মাস সময় চেয়েছিলেন। কেন্দ্র তিন মাস সময় বাড়তি দিচ্ছে। রাজ্য আইন কার্যকর না করলে কেন্দ্রের বর্তমান সুযোগ সুবিধা কি বন্ধ হয়ে যাবে? এ প্রশ্নের উত্তরে পাসোয়ান বলেন, “সে সব চালু থাকবে। তবে খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু হলে রাজ্যের মানুষ বেশি উপকৃত হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী বা খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না হলেও এ দিন অবশ্য রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন পাসোয়ান। পরে সাধনবাবু জানান, ক্রেতা সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তিনি কেন্দ্রের কাছে বাড়তি সাহায্য চেয়েছেন। তিনি জানান, এখন কেন্দ্রের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্কুলে প্রচার চালানোর জন্য স্কুলপিছু ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। রাজ্যের অন্তত ৫০০ স্কুলে প্রতিটির জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জেলায় জেলায় ক্রেতা সুরক্ষা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গঠনের জন্যও আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

rambilas paswan mamata bandopadhay meeting
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE