সংসদে সুযোগ না পেয়ে সম্পাদকীয় লিখে নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগের জবাব দিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। গত সপ্তাহে রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য তৃণমূলকে সহানুভূতি দেখিয়ে সিপিএমকে দুষেছিলেন। সে সময় ইয়েচুরি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। আজ দলীয় ইংরেজি মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে মোদীর ওই খোঁচার জবাব দিলেন তিনি। সরকারি হিসেব তুলে ধরে ইয়েচুরি লিখেছেন, বাম জমানায় পশ্চিমবঙ্গ শিল্পায়নে দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছিল। মোদীর ‘গুজরাত মডেল’-এর জয়গান করা হলেও গুজরাত ছিল সপ্তম স্থানে। তৃণমূলের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ২০০৭-২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধির হার ছিল ১২%। ইয়েচুরির অভিযোগ, আরএসএস-এর কমিউনিস্ট-বিরোধী মতাদর্শ মেনেই মোদী সিপিএমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তাঁর আসল উদ্দেশ্য হল, এ সব বলে সংসদে তৃণমূলের সমর্থন আদায় করা। যাতে জনবিরোধী আর্থিক সংস্কারের কাজে সুবিধা হয়।
মোদী রাজ্যসভায় বলেছিলেন, রাজ্যের ঋণের বোঝার জন্য মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের সরকার দায়ী নয়, তা তিনি জানেন। বিদেশ থেকে আমদানি করা ভাবনা নিয়ে সিপিএম দেশ চালানোর কথা ভাবে। তাদের তিন দশকের শাসনে অবনতিই হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের। ১৯৮০ সালে দেশের ১০% শিল্প উৎপাদন হতো এ রাজ্যে। এখন তা ৪%-এ নেমে এসেছে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬-এর মধ্যে কৃষি উৎপাদনের বৃদ্ধির হার ছিল ১৭.৩%। ২০০১-’০৭-এ তা ৭.৮%-এ নেমে এসেছে। ২০০৭ সালের এনএসএসও সমীক্ষা অনুযায়ী, অনাহার পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ ছিল শীর্ষে।
সরকারি সংস্থা এনএসএসও-র হিসেব তুলে ধরেই জবাব দিয়েছেন ইয়েচুরি। তিনি উল্লেখ করেছেন, ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ২,৫৩১টি নতুন শিল্প সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদন শুরু করেছিল। যাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ এসেছিল। ২০০৫ থেকে ২০১১-র মধ্যে দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৪০% তৈরি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy