বাস মালিকদের ভাড়া বাড়ানোর দাবি বিবেচনার জন্য সর্বদল কমিটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বৃহস্পতিবার সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে, ওই আহ্বানে তারা সাড়া দিচ্ছে না। তাদের যুক্তি, সর্বদল বৈঠকে কোনও আলোচনা হলে মতামত জানানো যেতেই পারে। কিন্তু কমিটির শরিক হওয়ার দরকার নেই। কংগ্রেস এ নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও সিপিএমের মতকেই সমর্থন জানিয়েছেন দলের একাংশ। তবে, এসইউসি জানিয়েছে, তারা ওই কমিটিতে যোগ দেবে।
সিপিএমের এই সিদ্ধান্ত জানার পরে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চাইছিলাম। সিপিএম নিশ্চয়ই তা চায় না।” পরিবহণমন্ত্রীর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের পাল্টা বক্তব্য, “যখন আরও ১০০টা বিষয়ে আলোচনা চেয়েছি তখন সরকার সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। এখন নিজেরা সমস্যায় পড়ে আমাদের ডাকছে। আমাদের কথা না শুনলে আমরা সরকারের কথা শুনব কেন?”
কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব প্রাথমিক ভাবে ঠিক করে ফেলেছিলেন, তাঁরা কমিটিতে অংশ নেবেন। সোহরাব বলেন, “কমিটিতে আমাদের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া প্রতিনিধিত্ব করবেন।” কিন্তু কংগ্রেস বিধায়কদেরই একাংশ কমিটিতে যোগ দেওয়ার ঘোরতর বিরোধী। তাঁদের বক্তব্য, মতামত আলোচনার সময়েই জানানো যায়। তার জন্য কমিটিতে ঢোকার প্রয়োজন পড়ে না। আসলে সরকার আমাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাসভাড়া বাড়াতে চাইছে, যাতে পরে দোষের ভাগী করা যায়। মানসবাবু নিজে অবশ্য বলছেন, অতীতেও এমন কমিটি হয়েছে। সেখানে গিয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানানো যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে পরিষদীয় দলনেতার উপস্থিতিতে আজ, শুক্রবার ফের এ নিয়ে আলোচনায় বসবেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এসইউসি-র একমাত্র বিধায়ক তরুণ নস্কর ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রস্তাবিত সর্বদলীয় কমিটিতে যোগ দেবেন। ঘটনাচক্রে, এ দিনই তরুণবাবু সরকারপক্ষের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন, অল্প দিনের মধ্যে বারবার তেলের দামবৃদ্ধির ফলে জনজীবনে যে ভাবে প্রভাব পড়ছে, তার বিরোধিতা করে একটি বেসরকারি প্রস্তাব এনে বিধানসভায় আলোচনা হোক। বিধানসভায় এ দিনই কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ওই প্রস্তাবের কথা উঠেছিল। কিন্তু সরকার পক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। বিরোধী শিবিরের একাংশের প্রশ্ন, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরেও জনসাধারণের উপরে বোঝা চাপানো যাবে না, এই যুক্তিতে বাস ভাড়া বাড়াতে চাইছে না সরকার। তা হলে তারাই কেন তেলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে এমন প্রস্তাব গ্রহণে অনীহা দেখাচ্ছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy