Advertisement
০৭ মে ২০২৪

ধারাবাহিক জঙ্গি বিস্ফোরণে সিরিয়ায় নিহত অন্তত ৪৮

জঙ্গিদের কোণঠাসা করে ফেলার চব্বিশ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ফের রক্তাক্ত হল সিরিয়া! সোমবার সকালে সিরীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা হোমস, দামাস্কাস এবং হাসাকা প্রদেশে পর পর ছ’টি বিস্ফোরণ হয়।

সিরিয়ার গ্রামে তুর্কি ট্যাঙ্ক। ছবি: এএফপি।

সিরিয়ার গ্রামে তুর্কি ট্যাঙ্ক। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
দামাস্কাস শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:১৩
Share: Save:

জঙ্গিদের কোণঠাসা করে ফেলার চব্বিশ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ফের রক্তাক্ত হল সিরিয়া!

সোমবার সকালে সিরীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা হোমস, দামাস্কাস এবং হাসাকা প্রদেশে পর পর ছ’টি বিস্ফোরণ হয়। কোথাও গাড়িবোমা, কোথাও মানববোমা। সরকারি সূত্র বলছে, রাত পর্যন্ত এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪৮ জনের। জখম বহু। এর মধ্যে একটি হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

হোমসের প্রাণকেন্দ্র টারটাস, দামাস্কাস ও উত্তরপূর্ব সিরিয়ার হাসাকায় এই বিস্ফোরণগুলি হয়। জায়গাগুলিতে কুর্দ বাহিনীর সঙ্গে সমান ভাবে সক্রিয় সিরীয় সেনাও। সরকারি সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রথম বিস্ফোরণটি হয়েছে টারটাসে। ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ১১ জন। আহতদের উদ্ধার করতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ভিড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে উড়িয়ে দেয়। তখনই আরও একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয় ঘটনাস্থলে।

চতুর্থ বিস্ফোরণ ঘটেছে হাসাকার একটি কুর্দ চেকপোস্টে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৫ জন। পরের বিস্ফোরণটি ঘটেছে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্মস্থান হোমসের আল-জাহরায়। গাড়িবোমা ফেটে মারা গিয়েছেন দু’জন। এই এলাকাটিতে অবশ্য কুর্দ বাহিনীর তেমন প্রভাব নেই। এখানে সক্রিয় সরকারি সেনা। এ দিনের ষষ্ঠ এবং শেষ বিস্ফোরণটি হয়েছে রাজধানী দামাস্কাসের পশ্চিম প্রান্তের একটি চেকপোস্টে। তবে সেখানে কত জনের প্রাণহানি হয়েছে, তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি।

আইএস হাসাকার চেকপোস্টে হামলার দায় স্বীকার করলেও বাকি বিস্ফোরণগুলোতেও ওই জঙ্গিগোষ্ঠীরই হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে প্রশাসন।

অন্য দিকে, রবিবার রাতেই তুরস্কের সেনা ও সিরিয়ার কুর্দ বিদ্রোহীদের যৌথ অভিযানে আইএসের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত। এই অভিযানকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৩ সালে ইসলামিক স্টেটের উত্থানের সময় থেকেই তুরস্ক-সিরিয়ার বিস্তীর্ণ সীমান্তে ঘাঁটি গেড়েছিল জঙ্গিরা। জঙ্গিঘাঁটি থেকে বহির্জগতের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা সুগম করেছিল এই সীমান্ত-পথই। রবিবারের অভিযানের পর আইএস-কে আক্ষরিক অর্থেই চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সেই সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়ার আগেই আরও এক বার রক্তগঙ্গা বইল দেশ জুড়ে। মাটি হারানোর বদলা নিতেই আইএস পাল্টা হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করছেন গোয়েন্দাদের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Syria blast
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE