সারা বিশ্বে ৪০০ কোটির কিছু বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছেন। এর মধ্যে ৪০০ কোটি মানুষ গুগল ব্যবহার করেন। কোনও গানের লাইন খোঁজা থেকে কারও অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, আমাদের গুগল ছাড়া চলে না। বিশ্বের ৭১.১৮ শতাংশ স্মার্টফোন ইউজার ব্যবহার করেন অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটিও গুগল-এরই। বিশ্বের ১৫০ কোটি মানুষের কাছে ইমেল পাঠানোর মাধ্যম জিমেল। এটাও গুগল-এরই প্রোডাক্ট। ভিডিয়ো দেখতে হলে আমরা যে ইউটিউবে ছুটে যাই, তার ইউজার সংখ্যা ২০০ কোটির বেশি। টাকা পাঠালে টাকাও পাওয়া যায়— এ দেশে ইউপিআই ব্যবস্থা যখন একবারে আঁতুরে তখন এমনই এক ‘বিনিময় প্রথা’ চালু করে ইউপিআই ব্যবস্থাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল ‘তেজ’ বলে একটা অ্যাপ। সেই অ্যাপ এখন নাম বদলে ‘গুগল পে’ নামেই খ্যাত। বর্তমানে ভারতে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭ কোটি ছুঁই ছুঁই। ইন্টারনেটে ঢোকার জন্য আমরা যে গুগল ক্রোম ব্যবহার করি, তার ইউজার সংখ্যাও নয় নয় করে ২৬০ কোটির উপর। মানে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, সবেতেই গুগল।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরও পড়ুন: ঘণ্টাখানেক ধরে বিপর্যস্ত গুগল, বন্ধ ছিল জিমেল, ইউটিউব
আরও পড়ুন: ৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, কী বার্তা নেত্রীর, অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা
গুগলের বিকল্প আছে কি?
হ্যাঁ, গুগলের বিকল্প অবশ্যই আছে। কিন্তু চেয়ে বা না চেয়েও আমরা গুগলে বাঁধা পড়ে গেছি। অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনলেই তার সঙ্গে বিনামূল্যে একগুচ্ছ অ্যাপ পাওয়া যায়, যা গুগলের তৈরি। কোনও অজানা জায়গায় যেতে গেলে আমরা গুগল ম্যাপের দ্বারস্থ হই, ই-মেল পাঠাতে হলে জি-মেল, টাকা পাঠাতে গেলে জি-পে, কিছু খুঁজতে হতে গুগল ব্রাউজার, ইন্টারনেটে ঢুকতে গুগল ক্রোম। এই সব ক’টা ক্ষেত্রেই বিকল্প আছে। যেমন অ্যান্ড্রয়েডের বিকল্প আইওএস, গুগল ম্যাপের বিকল্প ওয়েজ, জি-মেলের বদলে ইয়াহু মেল, জি-পের বদলে ফোন-পে, ক্রোমের বিকল্প ফায়ারফক্স, ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে আছে ভিমিও। কিন্তু গুগল সমস্ত পরিষেবাকে যে ভাবে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে তা অন্য কেউ পারেনি। গুগল ছাড়া যে বিকল্পগুলো রয়েছে, হয় সেগুলো বিনামূল্যে পাওয়া যায়, দাম বেশি অথবা সেগুলোর ব্যাপ্তি বা ক্ষমতা কম। তাই গুগলের বিকল্প আছে ঠিকই, কিন্তু জনপ্রিয়তা এবং প্রয়োগে তারা গুগলের চেয়ে ১০ যোজন দূরে। তাই গুগল ‘সার্ভার ডাউন আছে’ বললেই, সোমবারের মতো থমকে যেতে হয় বিশ্বকে।