দলাই লামাকে নিশানায় রেখে ফের সুর চড়াল বেজিং। চিনা-শাসন ‘মানব না’ বলে ১৯৫৯-এর ১০ মার্চ বিদ্রোহে সামিল হয়েছিল তিব্বতের একটা অংশ। তখনকার অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে গেলেও, সূত্রের খবর— দিন কয়েক আগে থেকেই তার ৫৮তম বর্ষপূর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল ধর্মীয় গুরু দলাই লামার অনুগত গোষ্ঠীরা। আজ, শুক্রবার বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় বড় শহরে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাকও দিয়েছে তারা। বস্তুত তাদেরই একহাত নিয়ে বেজিং জানাল— বিক্ষোভের নামে ধ্বংস আর বিচ্ছিন্নতাবাদ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তা সে বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক না কেন।
১৯৫০-এ তিব্বতের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে চিন। খাতায়-কলমে তিব্বত তখন থেকেই চিনের অংশ। চিনা পার্লামেন্টের বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিতে আবার এই মুহূর্তে বেজিংয়েই রয়েছেন তিব্বতের প্রতিনিধিরা। দলাই লামার অনুগত গোষ্ঠীকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ তকমা দিয়েছেন তিব্বতের গভর্নর চে দালহা-ও। তাঁর কথায়, ‘‘মূল চিনা ভূখণ্ডের অংশ হয়েই থাকতে চাই আমরা। আর কেউ যদি বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি আনতে চায়, পাল্টা জবাব দিতে তৈরি আমরাও।’’
একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের অবশ্য দাবি— বাস্তবিকই তিব্বতের নানা অংশে তাণ্ডব চালাচ্ছে চিনা ফৌজ। তাদের অভিযোগ— চিনআসলে কোনও ভাবেই এগোতে দিতে চায় না তিব্বতকে। তিব্বতি ধর্মগুরু বহু দিন ধরেই নির্বাসিত। কিন্তু প্রদেশের একাংশে এখনও ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে ১৯৫৯-এর মতোই।
সেই ক্ষোভটাই আজ উঠে এল অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। বিক্ষোভের এক খণ্ডচিত্রে। তিব্বতি পোশাকে সেখানকার চিনা দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেল শ’দুয়েক বিক্ষোভকারীকে। তাঁদের অভিযোগ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তিব্বতে রোজ বেড়েই চলেছে। এ নিয়েই আজ আরও বড় বিক্ষোভ মিছিলের কথা রয়েছে তাইওয়ানের তাইপেই এবং ব্রিটেনের লন্ডন শহরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy