মায়ার ভ্রুণ রাখা হয়েছিল বিগল প্রজাতির একটি কুকুরের জরায়ুতে। ছবি: সংগৃহীত।
পৃথিবীর প্রথম ক্লোন করা মেরুপ্রদেশীয় নেকড়ে। নাম দেওয়া হয়েছে মায়া। চিনের সংস্থা সিনোজিন বায়োটেকনোলজি মেরুপ্রদেশীয় নেকড়ের এই ক্লোন তৈরি করেছে। মায়ার জন্ম হয়েছে সিনোজিনের বেজিংয়ের পরীক্ষাগারে। সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে্র প্রতিবেদন অনুসারে, মায়ার জন্মের ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে এবং সে এখন সুস্থ আছে।
বন্য একটি মেরুপ্রদেশীয় স্ত্রী নেকড়ের ডিম্বাণু থেকে জন্ম হয়েছে মায়ার। তবে তার ভ্রুণ রাখা হয়েছিল বিগল প্রজাতির একটি কুকুরের জরায়ুতে। ওই মেরুপ্রদেশীয় স্ত্রী নেকড়ের ডিম্বাণু থেকে ১৩০টিরও বেশি নতুন ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর পরে সাতটি বিগলের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয় ৮০টিরও বেশি ভ্রূণ। এতগুলো ভ্রূণের মধ্যে এক মাত্র মায়াই সুস্থ ভাবে জন্মগ্রহণ করে।
সিনোজিনে কর্মরত বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বন্য নেকড়ের প্রজাতির থেকেই কালক্রমে কুকুরের উৎপত্তি হয়েছে। নেকড়ে এবং কুকুরের জিনে বেশ মিলও লক্ষ করা যায়। আর সেই কারণেই কুকুরের জরায়ুতে এই ভ্রূণগুলি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মায়া এবং তার ‘মা’ ওই বিগল কুকুরটি এক সঙ্গেই একটি ল্যাবের মধ্যে থাকে। তাকে চিনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের হারবিন পোলারল্যান্ডে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও সিনোজিনের তরফে জানানো হয়েছে।
জন্মের ১০০ দিন পর সিনোজিন বায়োটেকনোলজির তরফে মায়ার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। আর তা ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy