Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

আল কায়দা যোগ ইমরানের, তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ

সারদার টাকা যে জামাতের ঘরে গিয়েছে সে ব্যাপারে সংশয় নেই গোয়েন্দাদের। মৌলবাদী সংযোগের সেই সুতো কি আল কায়দা পর্যন্ত ছড়ানো? নিশ্চিত হতেই এ বার তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। এ ব্যাপারে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের আল কায়দা যোগ রয়েছে কি না, এ বার তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে বলে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবীরের কথাতেও তারই সমর্থন মিলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩১
Share: Save:

সারদার টাকা যে জামাতের ঘরে গিয়েছে সে ব্যাপারে সংশয় নেই গোয়েন্দাদের।

মৌলবাদী সংযোগের সেই সুতো কি আল কায়দা পর্যন্ত ছড়ানো?

নিশ্চিত হতেই এ বার তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা।

এ ব্যাপারে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানের আল কায়দা যোগ রয়েছে কি না, এ বার তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে বলে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবীরের কথাতেও তারই সমর্থন মিলেছে।

সোমবার, কলকাতায় ‘কমিটি ফর আপহোল্ডিং সেকুলারিজম’ নামে মানবাধিকার সংগঠনের সভায় তিনি বলেন, “ইমরান যে সিমি-র সংগঠক ছিল এ তথ্য নতুন নয়। আর সিমি যে আল কায়দার একটি শাখা সংগঠন, গোয়েন্দারা তাও জানতে পেরেছেন। সেই সূত্রেই তৃণমূল সাংসদের আল কায়দা যোগের হদিস করছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা।” কিন্তু ওই সাংসদ জঙ্গি যোগসাজশের প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েছেন? শাহরিয়ার বলেন, “এই ধরনের কোনও সংগঠনে এক বার যোগ দিলে তা আর ছাড়া যায় না। এই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করলেও তারা অন্য নাম নিয়ে গজিয়ে ওঠে।” এ ব্যাপারে, তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে তাঁর আবেদন, “ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে তৃণমূলের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই তৃণমূলের মৌলবাদী এবং জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংস্রব রাখা লোকের (ইমরান) সঙ্গ এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়।” এ ব্যাপারে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউই কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা জিইয়ে রাখতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে জামাতে ইসলামি। সীমান্ত উজিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে বস্তা-বন্দি হয়ে সারদার টাকা গিয়েছিল বাংলাদেশের ওই মৌলবাদী সংগঠনের হাতে। আর এ ব্যাপারে জড়িত ওই তৃণমূল সাংসদ। এ দিন ওই সংগঠনের ‘পশ্চিমবঙ্গ নির্বাহী কমিটি’র উদ্বোধন করে এমনই মন্তব্য করেন শাহরিয়ার। তিনি জানান, বাংলাদেশের গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮-এ আল কায়দা শাখা খুলেছিল বাংলাদেশে। তখন বাংলাদেশ জুড়ে সিমি-র রমরমা। এ দেশে চলে এলেও সিমি-র সূত্র ধরে সেই সময়ে ইমরানের বাংলাদেশ যাতায়াতের কথাও জানা গিয়েছে বলে তাঁর দাবি।

বাংলাদেশ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সেই সময়ে ওই তৃণমূল সাংসদের ঘন ঘন বাংলাদেশ যাতায়াতের পিছনে আল কায়দা যোগসাজশের সন্দেহ করছেন তাঁরাও। জঙ্গি দমনে দু-দেশে তথ্য আদান প্রদানের কথা হয়েছে। সম্প্রতি দিল্লি এসে, ভারতের জমি যাতে জামাতে ইসলামি বা অন্য কোনও জঙ্গি সংগঠনের সাহায্যার্থে ব্যবহৃত না-হয় সে ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি।

আল কায়দার শীর্ষ নেতা আইমন আল জাওয়াহিরি সম্প্রতি, ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের প্রতি তাদের বিদ্বেষ স্পষ্ট করেছে। সেই সূত্র ধরে ইমরানের আল কায়দা যোগ নিয়ে তৎপর বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা, এমনই দাবি ওই মানবাধিকার কর্মীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jamat al qaeda ahmed hasan imran saradha scam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE