কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার। ছবি: রয়টার্স।
দেশে অস্থায়ী বসবাসকারীদের সংখ্যা কমাতে চলেছে কানাডা সরকার। সে জন্য জাস্টিন ট্রুডো সরকারের প্রথম লক্ষ্য, দেশে অস্থায়ী কাজের ‘পারমিট’-এর সংখ্যা কমানো। গত কাল সংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার। কানাডা সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে চলেছে এ দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের উপরেও। কারণ এখানকার জনসংখ্যার একটা বড় অংশই হল ভারতীয়।
পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছরে কানাডার জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুত গতিতে। তার একটা বড় কারণ হল এখানকার অস্থায়ী বসবাসকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি। মিলার জানিয়েছেন, আপাতত কানাডার মোট জনসংখ্যার ৬.২ শতাংশ হল অস্থায়ী বসবাসকারী। সেটাই ৫ শতাংশে নামাতে চাইছে তাঁদের সরকার।
কানাডায় যাঁরা অস্থায়ী ভাবে বসবাস করেন, তাঁদের একটা বড় অংশ হল ছাত্রছাত্রী। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, অস্থায়ী কাজের ‘পারমিট’ চলে গেলে, তাঁদের পক্ষে এ দেশে থেকে পড়াশোনার খরচ চালানো যথেষ্ট চাপের হবে। বর্তমানে যেখানে কানাডার সংস্থাগুলি ৩০ শতাংশ অস্থায়ী কর্মীদের নিয়ে কাজ চালায়, সেটাকেই কমিয়ে ২০ শতাংশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে কানাডায় অস্থায়ী বসবাসকারীর সংখ্যা ২০.৫ লক্ষ। পড়ুয়া এবং সাধারণ কর্মচারী ছাড়াও যার একটা বড় অংশ শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থী। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০০০ সালে এ দেশে বসবাসকারী ভারতীয়ের সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ ৭০ হাজার। ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটাই ১০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। ট্রুডো সরকারের ব্যাখ্যা, অস্থায়ী বসবাসকারীর সংখ্যা কমলে, বিদেশ থেকে যাঁরা এ দেশে পাকাপাকি ভাবে থাকার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদেরই পরবর্তীকালে সুবিধে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy