বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনে এই কোভিড ঢেউ শিখরে উঠে স্থায়ী দুই থেকে তিন মাস। — ফাইল ছবি।
ডিসেম্বর জুড়েই দিনে হাজার হাজার মানুষ কোভিডে সংক্রামিত হয়েছেন চিনে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই কোভিড ঢেউ শিখরে উঠে স্থায়ী দুই থেকে তিন মাস। তার পর তা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়বে গ্রামে। যা আরও আশঙ্কার বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ শহরের মতো চিকিৎসা পরিষেবা নেই গ্রামে।
২১ জানুয়ারি থেকে চিনে লুনার নববর্ষের ছুটি শুরু। তাই শহর থেকে লোকজন গ্রামে যাবেন। প্রশাসনের আশঙ্কা, এর ফলেই গ্রামে ছড়াবে কোভিড। রাতারাতি বাড়বে সংক্রমণ। কোভিড অতিমারির সময় থেকে চিনে কড়া বিধি জারি। সেই নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছিল। গত নভেম্বরের শেষ থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বরে চিনে কড়া বিধি রদ করা হয়। গত রবিবার সীমান্তও খুলে দেওয়া হয়েছে।
চিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ইতিমধ্যে কোভিডের নতুন উপরূপে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন চিনের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ। তবে এখনও আশঙ্কার দিন শেষ হয়নি। এ কথা জানিয়েছে চিনের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রাক্তন সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ জেং গুয়াং। তিনি বলেন, ‘‘এত দিন বড় শহরে নজর দেওয়া হয়েছিল। এ বার গ্রামের দিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবার অবস্থা খুবই খারাপ। সে কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এই নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-ও।
চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করেছে, গত এক মাস ধরে সেখানে দিনে পাঁচ জন বা তার কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অতিমারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন পাঁচ হাজার মানুষ। যদিও আন্তর্জাতিক মহল এই দাবি মানতে নারাজ। তাদের দাবি, চিনে প্রত্যেক দিন কোভিডে শয়ে শয়ে মানুষ মারা যাচ্ছেন। এ বছর কোভিডে ১০ লক্ষ মানুষ মারা যেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy