Advertisement
E-Paper

উহানের ল্যাবে করোনাভাইরাস ছিল, কিন্তু কোভিড-১৯-এর সঙ্গে তার মিল নেই, দাবি চিনা গবেষকের

উহানের গবেষণাগার থেকে কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে দীর্ঘ দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা চলছিল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২০ ১৫:১৮
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নোভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য তাদের দুষছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করলেও, কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়ানোয় তাঁদের কোনও ভূমিকা নেই বলে এ বার জানিয়ে দিলেন উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির ডিরেক্টর ওয়াং ইয়েনি। তিনি জানিয়েছেন বাদুড়ের শরীরে থাকা করোনাভাইরাসের লাইভ স্ট্রেইন নিয়ে গবেষণা করছিলেন তাঁরা। উহানের গবেষণাগারে এখনও তিনটি স্ট্রেইন রয়েছে। কিন্তু তার একটির সঙ্গেও প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাসের মিল নেই।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে চিনের উহানেই নোভেল করোনা প্রথম থাবা বসায়। তার পর ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। মূলত বাদুড়ের শরীর থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। তাই উহানের ওই গবেষণাগারের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করে। জল্পনা শুরু হয়, ওই গবেষণাগার থেকেই কোনওরকমে ভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা, কিন্তু সেই অভিযোগ খারিজ করেছেন ওয়াং ইয়েনি।

গত ১৩ মে রাষ্ট্রীয় চ্যানেল সিজিটিএন-এর মুখোমুখি হন ওয়াং, শনিবার রাতে যা সম্প্রচারিত হয়েছে। কোভিড-১৯ এর সঙ্গে মিল নেই বলে দাবি করে ওয়াং জানিয়েছেন, ‘‘বাদুড়ের শরীর থেকে জীবন্ত করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল। এই মুহূর্তে গবেষণাগারে তিনটি লাইভ স্ট্রেইন রয়েছে। কিন্তু সার্স-কোভিড-২-এ সঙ্গে সেগুলির ৭৯.৮ শতাংশ মিল রয়েছে।’’

আরও পড়ুন: লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের আটকে রেখেছিল চিন? দাবি খারিজ সেনার​

ওয়াং ইয়েনির সঙ্গে গবেষণায় যুক্ত অধ্যাপক শি ঝেঙ্গি জানিয়েছেন, দু’দশক আগে প্রাণঘাতী সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম-এ (সার্স) হানা দিয়েছে। তার উৎপত্তি খুঁজে বার করতে ২০০৪ সাল থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন তাঁরা। কিন্তু সার্স-কোভিড-২ ও সার্সের মধ্যে ৮০ শতাংশ মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর মতে, এই পার্থক্যটা অনেকটাই।
উহানের ওই গবেষণাগার থেকে কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে দীর্ঘ দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা চলছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো সেই সুরে গলা মেলানোয়, তা আরও বেশি গুরুত্ব পায়। তবে ওয়াং ইয়েনি সাফ জানিয়েছেন, গতবছর ৩০ ডিসেম্বর প্রথম অজানা এক ভাইরাসের নমুনা হাতে পান তাঁরা। এ বছর ২ জানুয়ারি ভাইরাসটির জিনের গঠন নির্ধারণ করে ১১ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) হাতে তার রিপোর্ট তুলে দেন।

আরও পড়ুন: দেশীয় উড়ান চালু করাটা ‘অতি কুপরামর্শ’, মত মহারাষ্ট্র সরকারের​

৩০ ডিসেম্বর ওই নমুনা হাতে পাওয়ার আগে পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভাইরাস সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন ওয়াং। তিনি বলেন, ‘‘ওই ভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে, তা-ই জানতাম না আমরা। আমাদের কাছে ওই ভাইরাস ছিলই না, তাহলে গবেষণাগার থেকে ভাইরাস লিক হওয়ার কথা আসছে কোত্থেকে?’’ উহানের ওই গবেষণাগার থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছিল, মার্কিন সরকার এমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি বলে জানিয়েছে হু-ও।

coronavirus Wuhan China US COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy