অস্ত্র নামিয়ে রাখুক হিলারি ক্লিন্টনের দেহরক্ষীরা। দেখা যাক, তার পর কী অবস্থা হয় তাঁর। ভরা সভায় দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষকে বিঁধতে গিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার মায়ামির সভায় ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে গুপ্তহত্যার ইঙ্গিতও দেখছেন কেউ কেউ। হিলারির দেহরক্ষীদের নিরস্ত্র করার কথা এর আগেও বলেছেন তিনি। কিন্তু তার ফলাফল নিয়ে এমন ভয়াবহ ইঙ্গিত এ বারই প্রথম।
কিন্তু কেন এই মন্তব্য? ট্রাম্পের যুক্তি— হিলারি নিজেই যখন অস্ত্র চান না, তখন তাঁর আর সশস্ত্র দেহরক্ষীর কোনও প্রয়োজন নেই। হোয়াইট হাউসের দৌড়ে থাকা হিলারির পাশাপাশি কয়েক মাস ধরে নিউ ইয়র্কের ধনকুবের ট্রাম্পের জন্যেও বিশেষ সশস্ত্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রেখেছে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস। গত কাল ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে তাই বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে মার্কিন কূটনীতিক মহলে।
ট্রাম্পকে পাল্টা তোপ দেগেছে হিলারি-শিবিরও। তাদের দাবি, অনেক দিন ধরেই নিজের সমর্থকদের এ ভাবে উস্কানি দিয়ে আসছেন রিপাবলিকান পদপ্রার্থী। মায়ামির সভায় যা মাত্রা ছাড়ায় বলে অভিযোগ করেছেন হিলারির শিবিরের মুখপাত্র রবি মুক। তাঁর কথায়, ‘‘সমাবেশে দাঁড়িয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করাটা উনি অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছেন। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো মস্করাও করেন। কিন্তু ভবিষ্যতে যিনি দেশের কম্যান্ডার-ইন-চিফ হতে চাইছেন, তাঁর কাছ থেকে এমন মন্তব্য কোনও ভাবেই কাম্য নয়।’’
এর আগে, চলতি বছরের মে মাসেও ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের সভায় হিলারির দেহরক্ষীদের নিরস্ত্র করার দাবি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। সে বারও তাঁর যুক্তি ছিল, ‘‘মার্কিন জনগণের অস্ত্র রাখার অধিকারে কড়াকড়ি চান হিলারি! এই সূত্রেই প্রচারের শুরু থেকে তিনি মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী বাতিলের পক্ষে জোর সওয়াল করে আসছেন। অথচ নিজেই দিব্যি সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বে়ড়াচ্ছেন!’’
হিলারি তখনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে পার্টির চূড়ান্ত মনোনয়ন পাননি। কিন্তু হোয়াইট হাউসের দৌ়ড়ে এখন তিনিই যে হেতু দলের মুখ, তাই ট্রাম্পের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আজ কড়া বার্তা দিয়েছেন ২০১২-র রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিট রমনি। এ নিয়ে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের তদন্তে নামা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy