জাহাজের ভারতীয় কেবিন ক্রু।
এখনও ঠিক আছেন, কিন্তু কতদিন সুস্থ থাকতে পারবেন জানা নেই, কিছু হয়ে গেলে (করোনাভাইরাসে আক্রান্ত) তখন আর দেশে ফিরিয়ে কী লাভ! তাই দুহাত জোড়া করে ভারত সরকারের কাছে ফের দ্রুত হস্তক্ষেপের আবেদন জানালেন বিনয়।
টোকিয়ো উপকূলে আটকে থাকা জাহাজের ক্রু মেম্বার বিনয়কুমার সরকার। এর আগেও একাধিকবার ভারত সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিনয় উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা। তাই প্রতিবারেই ঝরঝরে বাংলায় আবেদন জানিয়েছিলেন। এ বার পাশে আরও চার ভারতীয় ক্রু মেম্বারকে নিয়ে হিন্দিতে সাহায্যের আবেদন জানালেন তিনি। সকলের মুখই সাদা মাস্ক দিয়ে ঢাকা। বিনয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে কী পদক্ষেপ করতে চলেছে বিদেশ মন্ত্রক, তা অবশ্য এখনও খোলসা করা হয়নি।
এ বারের ভিডিয়োয় বিনয়ের আবেদন, “যত দ্রুত সম্ভব আমাদের বাঁচান। আমাদের কিছু হলে গেলে তখন আর উদ্ধার করে কী লাভ.. মোদীজি দয়া করে আমাদের দ্রুত আলাদা করুন বাকিদের থেকে এবং বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই জাহাজের তিন হাজার ৭০০ যাত্রী রয়েছেন, তাঁদের সকলের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র যাঁরা খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তাঁদেরই আলাদা করা হচ্ছে বাকিদের থেকে। এই জাহাজে কতজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের জীবাণু রয়েছে, তা আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। আমরা ভীষণ আতঙ্কিত।”
সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন বিনয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য হুমকি তরুণীকে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
গত ২০ জানুয়ারি জাপানের ইয়োকোহামা থেকে ওই ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজটি রওনা দেয়। ২৫ জানুয়ারি হংকংয়ে পৌঁছয়। সেখান থেকে এক জন যাত্রী উঠেছিলেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলেই সন্দেহ। হংকং থেকে ফের ২৮ জানুয়ারি রওনা দেয় জাহাজ। এবার গন্তব্য ছিল ভিয়েতনাম। কিন্তু ২ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণের কথা জানতে পেরে দ্রুত টোকিয়োর কাছে জাহাজ ফেরানো হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানেই আটকে রয়েছেন বিনয়রা।
আরও পড়ুন: ‘ক্র্যাম্পে প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল, কিন্তু মনে মনে বলছিলাম, এই সুযোগ আর পাওয়া যাবে না’
এ দিকে টোকিয়ো উপকূলে আটকে থাকা ওই জাহাজের সংক্রমণের সংখ্যাও ক্রমে বাড়ছে। নতুন করে আরও ছ’জনের দেহে মিলেছে করোনাভাইরাসের জীবাণু। এই নিয়ে জাহাজের মধ্যে থাকা মোট ৬৬ জনের দেহে এই সংক্রমণ মিলল। তাঁদের সকলকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy