“মাঝখানে নদী ওই বয়ে চলে যায়।”আমরা যারা নিউ জার্সির বাসিন্দা তারা ওইভাবেই চিনতাম একদিন নিউ ইয়র্ক শহরটাকে। আজ মনে হয় ভাগ্যিস নদীটুকু ছিল মাঝখানে। নিউ জার্সিতেও আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষের বেশি, মারা গিয়েছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ, আমেরিকার হিসেবে আমরা দ্বিতীয় স্থানে। তবু আমাদের ওপারের ‘সেলিব্রিটি’ শহরের তুলনায় তো কিছুটা হলেও কম।
লকডাউনের জেরে যেন অর্থনৈতিক ‘আর্মাগেডন’ হতে চলেছে এই নিউজার্সিতে যার ফলস্বরূপ হয়ত শিক্ষক, পুলিশ, দমকলবাহিনীর মতো পেশায় যারা আছেন তাঁদের বেতন বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন স্বয়ং মেয়র। গত বছর যেখানে ৮৪০০০ বেকারভাতার দাবিদার ছিলেন, এখন এই সংখ্যাটা ৮৫৮০০০ (অত্যাধিক চাপে সাইটটি ডাউন থাকায় অনেকে এখনও ফর্ম জমা দিতে পারেননি)।
ষড়রিপু যতই শত্রু হোক মানুষের, নিউ জার্সির গভর্নরের ‘সিক্স পয়েন্ট’ প্ল্যান কিন্তু দুশ্চিন্তার অতল আঁধারে একটুকরো নিয়নবাতি জাগালো বুকে।নিউ ইয়র্কে যেখানে এই শিক্ষাবর্ষে আর স্কুল খুলবে না, সেখানে নিউ জার্সিতে নাকি জুনের শেষের দিকে খুলতে পারে স্কুল। তবে পড়ুয়ারা সে ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করবে। বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে স্কুলে। শোনা যাচ্ছে লকডাউন তুলে নেওয়ার আগে জরিপ করা হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক। যেমন নতুন করোনা কেস এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ক্রমহ্রাসমান হতে হবে প্রায় ১৪ দিন একটানা। আক্রান্ত ব্যক্তি কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, সেসব খতিয়ে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করতে হবে। বাড়াতে হবে কোয়রান্টিনের জায়গা, যেখানে বিনা খরচে থাকতে পারেন অসুস্থ লোকেরা।