Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মাস্ক পরা নিয়ে এত ধন্দেই কি বাড়ল সংক্রমণ

বিশ্ব জুড়ে সংক্রমণ কোটি ছাড়িয়েছে সেই কবেই। মৃত্যুও ঊর্ধ্বগামী, ছ’লক্ষের দিকে এগোচ্ছে। সংক্রমণ-তালিকায় শীর্ষ স্থানে থাকা আমেরিকা ১ লক্ষ ৪০ হাজার নাগরিকের মৃত্যুর পরেও দিশেহারা। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্কিন সংবাদ সংস্থাগুলোর একাংশের মত, এর জন্য অনেকাংশে দায়ী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০৫:২৭
Share: Save:

বিশ্ব জুড়ে সংক্রমণ কোটি ছাড়িয়েছে সেই কবেই। মৃত্যুও ঊর্ধ্বগামী, ছ’লক্ষের দিকে এগোচ্ছে। সংক্রমণ-তালিকায় শীর্ষ স্থানে থাকা আমেরিকা ১ লক্ষ ৪০ হাজার নাগরিকের মৃত্যুর পরেও দিশেহারা। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্কিন সংবাদ সংস্থাগুলোর একাংশের মত, এর জন্য অনেকাংশে দায়ী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

সম্প্রতি একটি মার্কিন দৈনিকে হু-র উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছিলেন ২৩৯ জন বিজ্ঞানী। তাঁরা দাবি তোলেন, হু তাদের নির্দেশিকায় কোভিড-১৯-কে বায়ুবাহিত রোগ হিসেবে উল্লেখ করুক। এর পরে চাপের মুখে দিন দুয়েকের মাথায় হু নির্দেশিকা পরিবর্তন করে জানায়, সম্পূর্ণ ভাবে বায়ুবাহিত না-হলেও বদ্ধ ঘরের হাওয়ায় ছড়াতে পারে ভাইরাসটি। হু-এর এ ভাবে মতবদল নতুন নয়। গোড়ার দিকে তারা বলেছিল, সব সময় মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। পরে নিজেরাই সমস্ত দেশের সরকারকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে জোর দিতে থাকে। একটি মার্কিন দৈনিকে লেখা হয়েছে: ‘সংক্রমণ রুখতে মুখে মাস্ক পরা উচিত না অনুচিত, এ নিয়ে স্পষ্ট করে বার্তা দিতে পারেনি হু। তারা এক সময়ে বলেছিল, অসুস্থ হলে তবেই মাস্ক পরুন। হু-এর এ ধরনের বার্তাতেই এত ধন্দ ছড়িয়েছে বিশ্ব জুড়ে।’

তবে শুধু হু নয়, জনসাধারণকে সন্দিহান করার পিছনে রাষ্ট্রনেতাদের ভূমিকাও কম নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই মাস্ক-বিরোধী। পারস্পরিক দূরত্বের প্রয়োজনীতাও মানতে বাধ্য নন তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে সম্প্রতি বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বাড়িতেই থাকতে হবে এমন নয়, বরং সতর্ক থাকুন।’’ এ দিকে, মৃতের সংখ্যার নিরিখে ব্রিটেন তৃতীয়। ৪৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। গত কাল ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক মাস্ক-পরা নিয়ে বোঝাতে গিয়ে হিমশিম খান। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দোকান-বাজারে গেলে মাস্ক পরতে হবে। তবে পাব কিংবা অফিসে মাস্ক পরার দরকার নেই।’’ স্বাভাবিক ভাবেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে থাকেন, এই ফারাকের কারণ কী। বাজারের জন্য এক নিয়ম আর অফিসের জন্য অন্য নিয়ম কেন! জবাব দিতে পারেননি হ্যানকক।

সম্প্রতি হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। সাংবাদিক বৈঠকে এসে মাস্ক খুলে জানিয়েছিলেন, তিনি কোভিড-পজ়িটিভ। সংবাদ সংস্থাগুলি তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে। কাল ফের পরীক্ষা হয় ৬৫ বছর বয়সি বোলসোনারোর। ফের পজ়িটিভ রিপোর্ট। চিকিৎসকেরা তাঁকে ঝুঁকির তালিকায় রেখেছেন। ব্রাসিলিয়ায় সরকারি বাসভবনে কোয়রান্টিন আছেন তিনি।

আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের করোনা টিকা অক্টোবরেই? সেই চেষ্টাই চলছে, বলছেন বিজ্ঞানীরা

সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে। আক্রান্তের সংখ্যা অনুযায়ী দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল, পাঁচে পেরু, ছয়ে চিলি, সাতে মেক্সিকো। ব্রাজিল মৃত্যুতেও দ্বিতীয়। সাড়ে ৭৫ হাজার ব্রাজিলীয় মারা গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। মৃতের সংখ্যায় ইটালিকে ছাপিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে মেক্সিকো। ৩৭ হাজার ছুঁইছুঁই মারা গিয়েছেন এ দেশে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus mask COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE