Advertisement
E-Paper

পাক প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি চান, চিঠি ট্রাম্পকে

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর এই প্রথমবার মার্কিন সফরে গিয়েছেন ইমরান। আজ বেশি রাতে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯ ০৪:৫১
অতিথি: হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। সোমবার ওয়াশিংটনে। ছবি: টুইটার

অতিথি: হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। সোমবার ওয়াশিংটনে। ছবি: টুইটার

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইমরান খানের বৈঠকের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে চিঠি লিখলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও মার্কিন কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্য। চিঠিতে তাঁরা ইমরান সরকারের নীতি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন। পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে ট্রাম্প যাতে ইমরানের জবাবদিহি চান, সেই দাবি তোলা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর এই প্রথমবার মার্কিন সফরে গিয়েছেন ইমরান। আজ বেশি রাতে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। তবে তার আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক স্তরে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট-এর পক্ষ থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে অভিযোগ, বালুচিস্তানে আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য পাক সরকারই দায়ী। দশ জন বিশিষ্ট কংগ্রেস সদস্যের লিখিত অভিযোগ, গোটা পাকিস্তান জুড়ে চলছে মানবাধিকার লঙঘনের ঘটনা। সিন্ধুপ্রদেশে জোর করে খ্রিস্টান যুবতীদের ধর্ম বদলে দেওয়া হচ্ছে। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে কমবয়সি হিন্দু মেয়েদের কথাও। বলা হয়েছে, এই সব বিষয় নিয়ে ট্রাম্প যেন ইমরানকে চাপ দেন।

আমেরিকা সফরে শুরু থেকেই অবশ্য ধাক্কা খেয়েছেন ইমরান। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে মার্কিন কর্তাদের কেউই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন না। যা প্রথা এবং সৌজন্যের বাইরে। তাই কূটনীতিকদের অনেকেই বলছেন, সকাল দেখেই বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে। এমন আচরণ দেখিয়ে আমেরিকা শুরুতেই কড়া বার্তা দিতে চেয়েছে ইসলামাবাদকে। শুধু মাত্র মার্কিন কংগ্রেসের ওই সদস্যদের অভিযোগই নয়— সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের ব্যর্থতা, তা নিয়ে ইসলামাবাদের ‘মিথ্যাচার’ ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। সে কারণেই বিমানবন্দরে এই ‘অসৌজন্য’।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের বক্তব্য, বালুচিস্তানের বাসিন্দাদের যে ক্ষোভ, তা ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত। রাষ্ট্র তাদের মুখ বন্ধ করে রেখেছে। কোনও শক্তিই নেই প্রদেশের হাতে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সাল থেকে বালুচিস্তানের কোনও সংগঠনের বিরুদ্ধে নাশকতার রিপোর্ট নেই। বরং তারা আমেরিকার সেনাকে আফগানিস্তানের যুদ্ধে সাহায্য করেছে। বালুচিস্তানের মানুষকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার তীব্র নিন্দা করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।

দশ জন বিশিষ্ট মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, সিন্ধু প্রদেশ-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। সামাজিক এবং আর্থিক উন্নয়নের জন্য তাদের ৩০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজই চোখে পড়ার মতো নয়। বরং সামাজিক অন্যায় চালিয়ে যাচ্ছে পাক সরকার। চিঠিতে বলা হয়েছে, অল্পবয়সি খ্রিস্টান এবং হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে জোর করে তাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। বয়সে অনেক বড় ব্যক্তিদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে করানো হচ্ছে। ২০১৮ সালে শুধুমাত্র সিন্ধুপ্রদেশে এই ধরনের হাজার খানেক ঘটনা ঘটেছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

Balochistan Pakistan USA Donald Trump Imran Khan Human Rights
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy