ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইমরান খানের বৈঠকের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে চিঠি লিখলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও মার্কিন কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্য। চিঠিতে তাঁরা ইমরান সরকারের নীতি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন। পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে ট্রাম্প যাতে ইমরানের জবাবদিহি চান, সেই দাবি তোলা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর এই প্রথমবার মার্কিন সফরে গিয়েছেন ইমরান। আজ বেশি রাতে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। তবে তার আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক স্তরে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট-এর পক্ষ থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে অভিযোগ, বালুচিস্তানে আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য পাক সরকারই দায়ী। দশ জন বিশিষ্ট কংগ্রেস সদস্যের লিখিত অভিযোগ, গোটা পাকিস্তান জুড়ে চলছে মানবাধিকার লঙঘনের ঘটনা। সিন্ধুপ্রদেশে জোর করে খ্রিস্টান যুবতীদের ধর্ম বদলে দেওয়া হচ্ছে। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে কমবয়সি হিন্দু মেয়েদের কথাও। বলা হয়েছে, এই সব বিষয় নিয়ে ট্রাম্প যেন ইমরানকে চাপ দেন।
আমেরিকা সফরে শুরু থেকেই অবশ্য ধাক্কা খেয়েছেন ইমরান। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে মার্কিন কর্তাদের কেউই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন না। যা প্রথা এবং সৌজন্যের বাইরে। তাই কূটনীতিকদের অনেকেই বলছেন, সকাল দেখেই বোঝা যায় দিনটি কেমন যাবে। এমন আচরণ দেখিয়ে আমেরিকা শুরুতেই কড়া বার্তা দিতে চেয়েছে ইসলামাবাদকে। শুধু মাত্র মার্কিন কংগ্রেসের ওই সদস্যদের অভিযোগই নয়— সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের ব্যর্থতা, তা নিয়ে ইসলামাবাদের ‘মিথ্যাচার’ ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। সে কারণেই বিমানবন্দরে এই ‘অসৌজন্য’।