১৬৫০ থেকে ১৭৩০ পর্যন্ত জলদস্যুদের দাপট ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই সময় সাম্রাজ্য বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে অভিযানে বেরতো বহু দেশ। দীর্ঘ যাত্রাপথে জাহাজের শ্রমিকদের সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করা হতো। ঠিক মতো খেতেও দেওয়া হতো না। কাজে কোনও খুঁত ধরা পড়লেই চাবুক মারা হতো। এমনকি শাস্তি হিসেবে জাহাজ থেকে শ্রমিকদের মাঝ সমুদ্রে ফেলে দেওয়াও হতো।
২০০৫ সালে সুনামির পর এই রকম হাজার হাজার ব্যারেলে ভরে যায় সোমালিয়ার উপকূল অঞ্চল। জানা যায়, ইউরোপের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কারখানা থেকে ইতালীয় মাফিয়াদের হাত ঘুরে ওই সব বর্জ্য পদার্থ সোমালিয়ার উপকূলে খালাস করা হচ্ছিল, যার মধ্যে সীসা, ক্যাডমিয়ামের মতো ক্ষতিকারক পদার্থ ছিল। এগুলি সোমালিয়ার উপকূল এলাকার জলে মিশতে থাকে।
এতে স্থানীয় জেলেরা জীবিকাহীন হয়ে পড়তে থাকেন। ধীরে ধীরে তাঁরা নিজেরাই এই লুঠ রুখতে তৎপর হন। বেআইনি ভাবে ইউরোপীয় দেশ থেকে যে সমস্ত জাহাজ তাদের উপকূল থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল এবং ক্ষতিকারক বর্জ্য ফেলে উপকূলকে দূষিত করছিল, তাদের তাড়াতে সোমালিয়ার উপকূলের অধিবাসীদের একাংশ ছোট ছোট নৌকো এবং স্পিডবোট নিয়ে নিজেরাই জলে নেমে পড়েন।
সমুদ্রের নাড়ি-নক্ষত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ায় স্থানীয় জেলে ও প্রাক্তন সেনা সদস্যদের একাংশ মিলে জলদস্যু দল তৈরি করতে শুরু করেন। তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন সোমালিয়ার সাধারণ মানুষও। স্থানীয়দের অধিকাংশেরই মতে, সমুদ্র প্রতিরক্ষায় জলদস্যুতাই একমাত্র উপায় তাদের কাছে। যে কারণে বহু অল্প বয়স ছেলেমেয়েও জলদস্যুদের দলে যোগ দিতে শুরু করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy