নামিয়ে আনা হচ্ছে এক বিদেশিনিকে। ছবি: পিটিআই
ফের অগ্নিকাণ্ড করাচিতে। সোমবার শহরের একটি চারতারা হোটেলে আগুন লেগে তিন মহিলা-সহ অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও ১১০ জন। দুর্ঘটনার সময় ওই হোটেলেই ছিলেন পাক ক্রিকেটার শোয়েব মকসুদ-সহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। সামান্য চোট লাগলেও সকলেই সুরক্ষিত আছেন বলে খবর। এই নিয়ে গত দু’সপ্তাহে চতুর্থ বার বড়সড় অগ্নিকাণ্ড ঘটল পাকিস্তানের সব চেয়ে বড় শহর করাচিতে।
সূত্রের খবর, ওই হোটেলের এক তলার একটি রান্নাঘর থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তে সেই আগুন ছ’তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। অন্তত ১০০ জন হোটেলের ঘরেই আটকে পড়েন। তিন ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন আয়ত্তে আনে। করাচির মেয়র ওয়াসিম আখতার ঘটনাস্থল ঘুরে যান। তিনি জানান, আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। হোটেলটিতে বেরোনোর আপৎকালীন কোনও দরজা না থাকায় উদ্ধারকাজে অনেকটা দেরি হয়েছে বলে দাবি মেয়রের।
জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের প্রধান সিমিন জামালি জানিয়েছেন, জানলা থেকে লাফ দিতে গিয়ে বেশ কয়েক জনের হাড়গোড় ভেঙেছে। অনেকের আবার জানলার কাচে হাত-পা কেটে গিয়েছে। কালো ধোঁয়ায় অনেক ক্ষণ আটকে থাকায় অনেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন। দমবন্ধ হয়েই ওই ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশিও আছেন বলে জানা গিয়েছে।
উদ্ধারকাজ চলছে। এখনও হোটেলের মধ্যে বেশ কয়েক জন আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।। দুর্ঘটনার সময়ে ওই হোটেলেই ছিলেন পাক ক্রিকেটার শোয়েব মকসুদ, ইয়াসিন মুর্তাজা ও কারামাত আলি। তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে নামার সময় পায়ে চোট পান ইয়াসিন। ভাঙা কাচে জখম হন কারামতও।
দমকলকর্মীরা ঠিক সময়ে এসে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমেছে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সায়েদ মুরাদ আলি শাহ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত দু’সপ্তাহেই চার-চারটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল করাচিতে। শুক্রবারই একটি তিনতলা বাড়িতে আগুন লেগে যায়। ওষুধের গুদামঘর হিসেবে ব্যবহার করা হতো বাড়িটিকে। শনিবারই কিয়ামারির একটি বন্দরে মিথানল ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণের জেরে দু’জনের মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy