এই ছবিই সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। ছবিতে মায়ের ঠিক পাশেই হাত তুলে দাঁড়িয়ে খুদে এলিজাবেথ।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বয়স তখন সাত। তাঁর বোন মার্গারেট বছর তিনেকের। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদের লনে দাঁড়িয়ে আছে ছোট এলিজাবেথ। সঙ্গে মা, বোন এবং কাকা অষ্টম এডওয়ার্ড। চার জনেই নাৎসি কায়দায় স্যালুট করছেন।
আজ এমনই একটি ছবি ছাপা হয়েছে ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রে। তবে ছবিটি তাঁরা কোথা থেকে এবং কী ভাবে পেলেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ। ছবিটি প্রকাশ হওয়ার পর যথেষ্ট বিরক্ত রাজপরিবার। তাঁদের পারিবারিক ছবির হদিশ ওই সংবাদপত্র কী ভাবে পেল, তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
১৯৩৩ সালে বালমোরাল প্রাসাদের লনে একটি ভিডিও তোলা হয়েছিল। সতেরো সেকেন্ডের সাদা-কালো ভিডিও থেকে একটি টুকরো নিয়ে আজ ব্রিটিশ সংবাদপত্রটি প্রকাশ করেছে। আর গোটা ভিডিওটি তাদের ওয়েবসাইট সংস্করণে প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রটি। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বালমোরালের লনে দাঁড়িয়ে একটি কুকুরের সঙ্গে খেলা করছেন এলিজাবেথ। তাঁর মা এক হাত তুলে নাৎসি কায়দায় স্যালুট করছেন। মায়ের দিকে এক বার তাকিয়ে ঠিক তাঁর মতোই নাৎসি কায়দায় স্যালুট করছেন ছোট্ট এলিজাবেথ। পরে একই কায়দায় স্যালুট করছেন মার্গারেট ও এলিজাবেথের কাকা অষ্টম এডওয়ার্ডও। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে মোট তিন বার স্যালুট করতে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে। তাঁর মা দু’বার এবং বোন মার্গারেট এক বার। সব শেষে রয়েছে অষ্টম এডওয়ার্ডের স্যালুট।
বাকিংহাম প্রাসাদের তরফে এক মুখপাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এ ভাবে ছবি প্রকাশ করে আশি বছর আগে তোলা একটি ভিডিওকে কাজে লাগিয়েছে ব্রিটেনের সংবাদপত্রটি। যদিও সংবাদপত্রের তরফে কার্যনির্বাহী সম্পাদক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই ছবি। তাই ছবিটি ছেপেছি। সব চেয়ে বড় কথা, ছবিতে অষ্টম এডওয়ার্ডের উপস্থিতিই হল ঐতিহাসিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি জানান, রাজপরিবারের সদস্যেরা নিয়মবহির্ভূত আচরণ করেছেন বলে তাঁরা কখনওই বলছেন না। তবে নাৎসি ভাবাবেগের প্রতি নরম মনোভাবাপন্ন বলে পরিচিত অষ্টম এডওয়ার্ডকে যে ভাবে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
১৯৩৩ সাল হল এমন একটা সময় যখন জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে রাজত্ব করছেন অ্যাডল্ফ হিটলার। সে সময় অষ্টম এডওয়ার্ডের বিরুদ্ধে বহু বার অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি ফ্যাসিবাদের প্রতি নরম মনোভাবাপন্ন। এমনকী ১৯৩৭ সালের অক্টোবরে জার্মানিতে গিয়ে হিটলারের সঙ্গে দেখাও করে আসেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রিটিশ সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবিটি তাই অন্য মাত্রা পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy