‘রাখে হরি, মারে কে?’ এই প্রবাদের আক্ষরিক উদাহরণ শতবর্ষ ছোঁয়া জয় অ্যান্ড্রু। কারণ, এক জীবনে তিনি হারিয়েছেন নাৎসি ষড়যন্ত্রে মৃত্যুর সম্ভাবনা থেকে শুরু করে, বিমান দুর্ঘটনা, ক্যান্সার এবং একেবারে শেষে করোনাকে। এত বাধা পেরিয়ে দিব্যি ১০০তম জন্মদিন পালন করেছেন তিনি।
১৯২০ সালে লন্ডনে জন্ম হয় অ্যন্ড্রুর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যোগ দেন ব্রিটিশ বিমান বাহিনীতে। ‘দ্যা বোম্বার কম্যান্ড’-এ দীর্ঘদিন নিযুক্ত ছিলেন তিনি। জার্মান-ইহুদি বংশোদ্ভূত অ্যান্ড্রুর একসময় বদলি হয় জার্মানির শহর ডুসেলডর্ফে। সেখানে যে পরিবারের সঙ্গে তিনি থাকতেন, সেই পরিবারের একমাত্র কন্যা সন্তান ছিলেন নাৎসি সমর্থক। একজন গাড়ি চালক ছিলেন অ্যান্ড্রুর, তিনিও ছিলেন নাৎসি। একদিন সেই গাড়ি চালক ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অ্যান্ড্রুকে মারতে চায়। সে যাত্রায় কোনওমতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান তিনি।
এরপর বৃটিশ ওভারসিজ এয়ারওয়েজের বিমানসেবিকা হয়ে কাজ শুরু করেন। সেই কর্মজীবনেও হয় প্রাণ যাওয়ার উপক্রম। লিবিয়াগামী একটি বিমানে জ্বালানি বিভ্রাট ঘটায় সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এক যাত্রীর মৃত্যু হলেও সেই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।