গত জুন মাসে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হাত থেকে পশ্চিম বাগদাদের ফালুজা শহর পুনরুদ্ধার করেছে ইরাকের সেনাবাহিনী। এ বার আইএসের কবল থেকে মসুল শহরটিকে পুনরুদ্ধার করাই সেনার একমাত্র লক্ষ্য। মসুলে ফের দখল নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু করে দিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার মসুল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের কায়ারা শহর পুনরুদ্ধারের জন্য অভিযান চালায় ইরাকের সেনাবাহিনী। টাইগ্রিস নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই কাইরা শহর হল আইএসের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। এখান থেকেই মসুলে আধিপত্য কায়েম করার পরিকল্পনা করে আইএস জঙ্গিরা।
কায়ারায় এই অভিযানে ইরাকি সেনার সঙ্গে রয়েছে মার্কিন সেনাজোটও। শুধু এরাই নয়, আইএসের বিরুদ্ধে আজ ইরাকি সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই করেছেন সশস্ত্র স্থানীয় বাসিন্দারাও। এটা অত্যন্ত বিরল ঘটনা বলেই মনে করছে ইরাকি প্রশাসন। অভিযানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কায়ারায় আইএসের বেশ কয়েকটি শক্ত ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে সেনা। ফলে খুব শীঘ্রই মসুলকে আইএস মুক্ত করা যাবে বলে আশাবাদী ইরাক।
দু’বছর আগেই মসুলে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছিল আইএস জঙ্গিরা। ফালুজার পর মসুলই দ্বিতীয় বড় শহর যেখানে আইএস বড় ঘাঁটি তৈরি করেছিল। আর এই শহরই হল ইরাকে আইএসের রাজধানী। ফলে মসুল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কায়ারায় ইরাকি সেনা যখন অভিযান চালাচ্ছে, তখন এতে আশার আলো দেখছেন অনেকে। গত জুলাই মাসেই কায়ারার বিমান ঘাঁটি দখল করেছে ইরাকি সেনা। সেনাবাহিনীর দাবি, নিজেদের রাজধানী মসুলেই ধীরে ধীরে ক্ষমতা হারাচ্ছে আইএস। আর চলতি বছরের শেষের দিকে সেই মসুলকে আইএস মুক্ত করা যাবে বলে তাদের আশা।
কায়ারার মেয়র সালেহ আল জুবুরি জানিয়েছেন, অন্তত ১৫ হাজার নাগরিক আইএস শাসনের অধীনে ছিলেন। যাঁরা পালাতে পারেননি, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। গোটা শহর আইএসের কবল থেকে মুক্ত হলেই তাঁদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy