এ দেশে এলেই পাওয়া যায় প্রাচীন সভ্যতার গন্ধ। পাওয়া যায় পাহাড়-সমু্দ্র-জলপ্রপাতের চোখ জুড়োনো লোকেশন। খরচটাও ইউরোপের অধিকাংশ দেশের তুলনায় কম। ভারতীয় টাকার নিরিখে ডলার-পাউন্ড-ইউরোর চেয়ে ঢের সস্তা টার্কিশ লিরা। এক লিরার দর এখন বাইশ টাকার মতো। সিঙ্গাপুর ডলারও এর চেয়ে দামি।
কথায় বলে, ‘টালা থেকে টালিগঞ্জ’। ইদানীং ব্যাপার যে রকম, প্রবচনটা খানিক পাল্টে ‘টালিগঞ্জ থেকে তুরস্ক’ বলাই যায়। সেই বছর চারেক আগে শুরু। তার পর থেকে বাংলা ছবির মিছিল লেগেই রয়েছে তুরস্কে। শনিবার সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ও সংঘর্ষে প্রায় আড়াইশো মানুষের মৃত্যু নিয়ে দুনিয়া যখন তোলপাড়, কলকাতার স্টুডিওপাড়ায় তখন উদ্বেগ। কারণ, বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত একটি ছবির গোটা শ্যুটিং ইউনিট এখন ইস্তানবুলে। বিরসারা অবশ্য মেসেজ-টুইটারে আশ্বস্ত করেছেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন। কামাল আতাতুর্কের দেশে আরও ২০-২৫ দিন চলবে ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের এই ছবির শ্যুটিং।
এত দেশ থাকতে তুরস্কে এমন লম্বা শিডিউল কেন, সেই উত্তরটা গোড়াতেই রয়েছে। বাংলা থেকে এই নতুন লোকেশন-মৃগয়ায় প্রথম পাড়ি দেয় প্রযোজক-গোষ্ঠী এস কে মুভিজ। জিৎ-নুসরতকে নিয়ে বছর চারেক আগে ‘শত্রু’ ছবির শ্যুটিং হয়েছিল তুরস্কের তিনটি লোকেশনে। ভূমধ্যসাগরপারের পাহাড়ঘেরা শহর আনাতোলিয়া, ইউনেস্কো-চিহ্নিত ঐতিহ্যশালী জনপদ ক্যাপাডোশিয়া এবং চুনাপাথরের প্রাকৃতিক সৌধে ভরপুর পামুক্কালে-তে শ্যুটিং করেছিল বাংলা ছবির ইউনিট। সেই ছবির তরুণ প্রযোজক হিমাংশু ধানুকা বলেই দিচ্ছেন, ‘‘বাংলা ছবির জন্য নতুন-নতুন লোকেশন খুঁজে বার করা খুব জরুরি। প্রসেনজিতের ‘বিক্রম সিংহ’র জন্য জর্ডন, হিরণ-শ্রাবন্তীর ‘ভালবাসা ভালবাসা’র জন্য অস্ট্রিয়ায় গিয়েছিলাম। এর পরই তুরস্কের কথা মাথায় আসে! ওখানে শ্যুটিংয়ের খরচ বিলেতের অর্ধেক বলা চলে!’’