ইজ়রায়েলের হানায় ক্ষতিগ্রস্ত তেহরানের একাংশ। ছবি: রয়টার্স।
ইরান ও ইজ়রায়েল পরস্পরের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইজ়রায়েল সেনা বাহিনীর দাবি, ইরানের দিক থেকে আসা ১৫টিরও বেশি ইউ ভি উড়ান নামিয়েছে। পাল্টা ইরানের দাবি, তাবরিজ এলাকায় ইজ়রায়েলের বেশ কিছু ড্রোন আটক করা হয়েছে।
আবারও ইজ়রায়েলের পক্ষ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানে আক্রমণ না চালানোর জন্য ইজ়রায়েলকে অনুরোধ করা তাঁর পক্ষে ‘কঠিন’ হবে। তবে সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, তিনি সমাধান চান কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই।
তিনি বলেন, ‘‘মার্কিন সেনা বাহিনীর পদক্ষেপ কী হবে তার জন্য ইরানকে দেওয়া দু’সপ্তাহ সময়ই যথেষ্ট।’’
জেনেভায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইরানের দাবি, মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে তখনই বৈঠকে বসা হবে যদি ইজ়রায়েল ইরানে হামলা চালানো বন্ধ করে।
বলা হয়েছে, যে সময় ইরানে হামলা চালানো হচ্ছে সেই সময় আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকের কথা ভাবা কোনও মতেই সম্ভব নয়।
জাতি সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইরান ও ইজ়রায়েলের রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে বিতর্ক হয়। পারস্পরিক বিরোধিতা করার সময় দু’দেশই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। সেই সঙ্গে দু’দেশের বার্তাই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার।
ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধবিরতির আবেদন জানালেন শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নার্গেস মোহাম্মদী। ইরানের এক আশ্রয় কেন্দ্র থেকে তিনি বলেন, ‘‘এই যুদ্ধে সাধারণ মানুষের বাড়ি ও বিভিন্ন পরিষেবার উপরে আঘাত হানা হচ্ছে। ’’
প্রসঙ্গত, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানবাধিকারের বার্তা দেওয়ার জন্য ২০২৩ সালে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা’র ডিরেক্টরের সতর্ক বার্তা, ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরাসরি আক্রমণ করা হলে নির্গত হবে শক্তিশালী তেজস্ক্রিয়। যার পরিণাম হবে ভয়াবহ।
ইরানের মাশহাদ থেকে শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লি বিমান বন্দরে অবতরণ করেছে একটি বিমান। জানা গিয়েছে, ওই বিমানে করে দেশে ফিরেছেন ২৯০ জন ভারতীয় পড়ুয়া। যাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা।
রাত ৩টে নাগাদ আরও দু’টি বিমান দিল্লিতে অবতরণ করার কথা। যার মধ্যে একটি তুর্কমেনিস্তান থেকে আসবে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মোট হাজার জনকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।
ইজ়রায়েল এবং ইরান গত শুক্রবার থেকে সংঘাতে জড়িয়েছে। সেই সংঘাত উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমেরিকা বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিয়েছে, ইরানে হামলা চালানো হবে কি না, তা নিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। ইরানকে চাপে রাখতে আসরে নেমেছে ইউরোপের তিন দেশ, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি। ইরানের ‘বন্ধু’ বলে পরিচিত রাশিয়া কী করে, এখন সে দিকেই তাকিয়ে সকলে। এই আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সংঘাত থেকে যেন কিছুটা ‘দূরত্ব’ই রচনা করলেন। তিনি জানালেন, এ সবের মধ্যে তাঁরা কোথাও নেই। মধ্যস্থতাকারীও হতে চান না তাঁরা। তবে দুই পক্ষের মধ্যে এই টানাপড়েনের ‘সমাধান’ সম্ভব। সেই নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছে মস্কো বলে জানিয়েছেন পুতিন।
ইরান সেনার সম্ভাব্য হামলা এড়াতে এ বার পশ্চিম এশিয়ায় নতুন রণকৌশল পেন্টাগনের। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানার আশঙ্কা রয়েছে, এমন ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কয়েকটি সেনাঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমান ও রণতরী সরিয়ে নিতে শুরু করেছে আমেরিকা!
জেনেভায় এখনও চলছে বৈঠকে। বৈঠকে রয়েছে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আরাগচি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির মন্ত্রীরা। রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
ইজ়রায়েল সেনার দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের অর্ধেক ধ্বংস করেছে তারা।
শুক্রবার ইজ়রায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইজ়রায়েলের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ১৭ জন আহত হয়েছেন। অন্য দিকে, ইরানে গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে সরিয়ে (হত্যা করে) জমানা বদলের কথা বলেছে ইজ়রায়েল। সরাসরি জমানা বদলের কথা না-বললেও খামেনেইয়ের গোপন ডেরার কথা আমেরিকা জানে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে রাশিয়া জানিয়ে দিল, ইরানে জমানা বদলের বিষয়ে সায় নেই তাদের। শুক্রবার ‘স্কাই নিউজ়’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “ইরানে জমানা পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা অকল্পনীয়। এটা নিয়ে কথা বলাও সমর্থনযোগ্য নয়।” খামেনেইকে হত্যা করলে ইরানে চরমপন্থা বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন পেসকভ।
ইজ়রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে ইরানের। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। এই আবহে ইরানের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে আসরে নামল ইউরোপের তিন দেশ— ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে তিন দেশের প্রতিনিধি। বৈঠকে থাকছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যেরাও। সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভায় হচ্ছে বৈঠক। ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির বিদেশমন্ত্রী।
আমেরিকা পাশে থাক বা না-থাক, ইজ়রায়েল তা নিয়ে ভাবিত নয়। তাদের লক্ষ্য ইরানের সমস্ত পরমাণুঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া। এমনটাই জানালেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার রাতে (স্থানীয় সময়) হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা অস্ত্র ধরবে কি না, তা নিয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প। তার মাঝেই নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণুঘাঁটিগুলি ধ্বংসের লক্ষ্যে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে। এই কাজের জন্য অন্য কোনও দেশের ‘সবুজ সঙ্কেত’ তাঁদের প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে ইজ়রায়েলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কারও অনুমতি নেওয়া হবে না।
ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা অস্ত্র ধরবে কি না, সেই বিষয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “বাস্তব এই যে, অদূর ভবিষ্যতে (ইরানের সঙ্গে) বোঝাপড়ায় আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমি সেই পথে হাঁটব কি না, সেই বিষয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আনার পর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার পথ এখনই বন্ধ করে দিতে চান না ট্রাম্প। কিন্তু তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিতে যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সায় নেই, তা আরও এক বার স্পষ্ট করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট কূটনৈতিক সমাধানই চান। তিনি শান্তিপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সেরা একজন। যদি কূটনৈতিক সমাধানের কোনও পথ থাকে, অবশ্যই প্রেসিডেন্ট সেই পথ ধরে হাঁটবেন।” ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশের উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী সেফিদ-রুদ এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। এই এলাকায় বহু কলকারখানা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগেই এই এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরে যেতে বলেছিল ইজ়রায়েলি সেনা।
একটি-দু’টি নয়, পাঁচ পাঁচটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান চিন থেকে উড়ে গিয়েছে ইরানের দিকে। বিশ্বে বিমান চলাচলের উপর নজরদারি চালানো সংস্থা ‘ফ্লাইটরেডার২৪’-কে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানগুলি উত্তর চিন থেকে উড়ে কাজ়াকিস্তানের দিকে যায়। তার পর দক্ষিণে বাঁক নিয়ে উজ়বেকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান পৌঁছোয়। রেডার-তথ্য বলছে, সেই সময় বিমানগুলির অভিমুখ ছিল ইরানের দিকে। তার পর অবশ্য রেডারে সেগুলির গতিবিধি ধরা পড়েনি।
প্রতিবেদনে একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, চিনের ওই বোয়িং বিমানগুলি আদতে লুক্সেমবার্গ যাচ্ছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বিমানগুলিকে ইউরোপের আকাশসীমায় দেখতে পাওয়ার কথা। তেমনটা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ‘ফক্স নিউজ়’। আর এখানেই ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। ভূরাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, বিমানগুলি ইরানে পাঠিয়ে আদতে তেহরানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে বেজিং। যদিও প্রকাশ্যে এই বিষয়ে মুখ খোলেনি চিন কিংবা উড়ান সংস্থা। বিমানগুলি ইরানেই রয়েছে, না কি কিছু সময়ের জন্য অবতরণ করে অন্যত্র উড়ে গিয়েছে, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়।
নিরাপত্তাগত ঝুঁকি থাকায় তেহরানে দূতাবাসের কাজ বন্ধ করে দিল অস্ট্রেলিয়া। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী পেনি ইয়ং জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার বায়ুসেনা এবং প্রতিরক্ষা বাহিনী যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। ইরানের আকাশপথ খুলে দেওয়া হলেই কূটনীতিক এবং বসবাসকারী অস্ট্রেলিয়ানদের বিমানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ইজ়রায়েলের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরান। যদিও এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ইজ়রায়েলের বির শেভা শহরে মাইক্রোসফ্টের অফিসে আগুন ধরে যায়। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হানার আশঙ্কায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় এয়ার সাইরেন বাজানো হচ্ছে।
পাল্টা রাতভর ইরানের রাজধানী তেহরানে আকাশপথে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েল। নেতানিয়াহু প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সরঞ্জাম তৈরির কারখানা, ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের সদর দফতর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ‘বন্ধু’ ইরানের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজ়বুল্লা। ‘জেরুসালেম পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, হিজ়বুল্লার উপনেতা শেখ নইম কাশেম বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ইরানের সব ধরনের সাহায্য করা হবে। তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে পরমাণু কর্মসূচি চালানোর অধিকার রয়েছে ইরানের। প্রসঙ্গত, গাজ়ায় হামাসের সঙ্গে সংঘাতের সময় ইজ়রায়েলকে নিশানা করেছিল হিজ়বুল্লা। এই সংগঠনকে ইরানই অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে বলে একাংশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy