Advertisement
০২ এপ্রিল ২০২৩

শিশু-নিয়োগের চেষ্টা করত জঙ্গি

শনিবার রাতে লন্ডন ব্রিজ ও বরো মার্কেট চত্বরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় মোট সাত জনের। হামলার দায় নিয়েছে আইএস। আজ সকালে নিউহ্যাম ও বার্কিং থেকে আটক করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে।

শোকার্ত: নিহতদের স্মরণ। লন্ডনের বরো মার্কেটের কাছে। এএফপি

শোকার্ত: নিহতদের স্মরণ। লন্ডনের বরো মার্কেটের কাছে। এএফপি

শ্রাবণী বসু
লন্ডন শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ১৪:০০
Share: Save:

কট্টরপন্থী কার্যকলাপের জন্য পুলিশের খাতায় নাম ছিল লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী এক জঙ্গির। পুলিশ জানতে পেরেছে, স্কুলপড়ুয়াদের ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএসে নিয়োগের চেষ্টাও করেছিল সে। তিন হামলাকারীরই পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে দু’জনের। যাদের মধ্যে এক জন খুরম শাজাদ বাট (২৭), পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। দ্বিতীয় জন, মরোক্কো কিংবা লিবিয়া থেকে আসা র‌্যাচিড রেদুয়ান। বয়স ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে। আইএস-এর হয়ে নিয়োগকারী যুবক সম্ভবত শাজাদই।

Advertisement

শনিবার রাতে লন্ডন ব্রিজ ও বরো মার্কেট চত্বরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় মোট সাত জনের। হামলার দায় নিয়েছে আইএস। আজ সকালে নিউহ্যাম ও বার্কিং থেকে আটক করা হয়েছে বেশ কয়েক জনকে।

আরও খবর
কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল সাত দেশ

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারের তিন হামলাকারীর মধ্যে ছিল বছর সাতাশের যুবক শাজাদ। ছোটবেলাতেই পাকিস্তান থেকে বাবা-মা’র সঙ্গে ব্রিটেনে চলে আসে সে। বার্কিংয়ে একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রীর সঙ্গে থাকত সে। রবিবার সকালেই সেখানে হানা দেয় পুলিশ। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, কট্টরপন্থী মার্কিন ধর্মপ্রচারক আহমেদ মুসা জিব্রিলের বক্তৃতা অনলাইনে শুনত সে। পশ্চিমিদের সিরিয়ায় গিয়ে যুদ্ধ করার জন্য প্রভাবিত করতেন এই জিব্রিল। ওই প্রতিবেশীর সঙ্গেই একবার সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল হামলাকারীর। প্রতিবেশী এক গৃহবধূও জানিয়েছেন, মিষ্টির লোভ দেখিয়ে নর্থবেরি প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের একটি পার্কে জড়ো করেছিল ওই যুবক। আরও দু’জন ছিল তার সঙ্গে। ওই পড়ুয়াদের মধ্যে ছিল ওই মহিলার সন্তানও। পরে তিনি প্রশ্ন করলে ওই যুবক জানায়, বাচ্চাদের ধর্মশিক্ষা দিতে চায় সে। শাজাদের সঙ্গে একই জিমে যেত এমন এক কিশোরও জানিয়েছে, তাকে আইএসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল সে।

Advertisement

প্রতিবেশীদের কয়েক জন আবার জানাচ্ছেন, ওই হামলাকারীর বাড়িতে নিয়মিত ইসলামি পোশাক পরা লোকজনের যাতায়াত ছিল। একটি ইসলামি শারীরশিক্ষা কেন্দ্রে সপ্তাহে বেশ কয়েক ঘণ্টা কাটাত সে। তার এক আত্মীয় জানান, এক শেখের কাছে যেত ইসলামি ধর্মশিক্ষা নিতে। বক্সিং, ভারোত্তোলন করতে জিমেও যেত সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.