আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামা। কমলাকে ফোন করে সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা। কমলাকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধনও করেছেন। সঙ্গে পোস্ট করেছেন একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা গিয়েছে, কমলা ফোনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন।
ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে জো বাইডেনের নাম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিছু দিন আগে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার নাম প্রস্তাবও করেন তিনি। ডেমোক্র্যাটেরা কমলাকে সমর্থন জানালেও দু’জন নীরব ছিলেন। কমলাকে এত দিন সমর্থন জানাননি ওবামা এবং তাঁর স্ত্রী। কেন ডেমোক্র্যাটদের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কমলাকে সমর্থন জানাচ্ছেন না, তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল, বাইডেনের সরে দাঁড়ানো এবং সেই জায়গায় কমলাকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করার বিষয়ে ওবামারা একেবারেই খুশি নন। এমনকি, ওবামা ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি এ-ও বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে হারাতে পারবেন না কমলা। তবে সব জল্পনার অবসান হল শুক্রবার।
ওবামা নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘কিছু দিন আগে মিশেল এবং আমি আমাদের বন্ধু কমলাকে ফোন করেছিলাম। আমরা ওকে বলেছি, ও দারুণ প্রেসিডেন্ট হবে। আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ওর সঙ্গে। আমাদের দেশের এই কঠিন সময়ে ওর জয়ের জন্য আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করব। আশা করি আপনারাও আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন।’’
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কোনও একটি অনুষ্ঠান থেকে ফোন পেয়ে বেরিয়ে আসছেন কমলা। ফোনের ওপার থেকে শোনা যাচ্ছে ওবামা এবং তাঁর স্ত্রীর গলা। ওবামা দম্পতি জানান, কমলার জন্য তাঁরা গর্বিত। কমলা আমেরিকায় নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কমলাও।
উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে আগামী ৫ নভেম্বর। রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটদের হয়ে এ বারও ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু তাঁর বয়স হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি এবং সুস্থতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল। প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ট্রাম্পের বিপরীতে অসংলগ্ন দেখিয়েছে বাইডেনকে। তাঁর কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল। যা নিয়ে কটাক্ষ ভেসে এসেছে দেশ-বিদেশ থেকে। বাইডেন নিজেও স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তিনি আর আগের মতো হাঁটতে, কথা বলতে বা তর্ক করতে পারেন না। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও বাইডেনকে সরানোর দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। এর মাঝেই বাইডেন প্রেসিডেন্টের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান এবং এই পদের জন্য কমলার প্রতি সমর্থন জানান। সব ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প বনাম কমলার লড়াই দেখা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy